1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসাম পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার জিগনেশ

২১ এপ্রিল ২০২২

গুজরাটে গিয়ে বিধানসভার সদস্য তথা দলিত নেতা জিগনেশ মেওয়ানিকে গ্রেপ্তার করলো আসাম পুলিশ। 

https://p.dw.com/p/4AAze
জিগনেশকে কংগ্রেস অফিসে স্বাগত জানাচ্ছেন বেনুগোপাল। ২০২১-এর সেপ্টেম্বরের ছবি।
জিগনেশকে কংগ্রেস অফিসে স্বাগত জানাচ্ছেন বেনুগোপাল। ২০২১-এর সেপ্টেম্বরের ছবি। ছবি: Naveen Sharma/ZUMAPRESS.com/picture alliance

বুধবার সন্ধ্যায় গুজরাটের পালানপুরের একটি গেস্টহাউস থেকে জিগনেশকে গ্রেপ্তার করে আসাম পুলিশের একটি বিশেষ দল। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আমদাবাদ। বৃহস্পতিবার তাকে সেখান থেকে আসামের গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জিগনেশকে আপত্তিকর টুইটের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোকরাঝাড়ের বিজেপি নেতা অরূপ কুমার দে জিগনেশের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তারপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গুজরাটের নির্দল বিধায়ক জিগনেশ মেওয়ানি দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তার দলের নাম রাষ্ট্রীয় দলিত অধিকার মঞ্চ। স্বাধীন বিধায়ক হলেও গোটা দেশেই জিগনেশের রাজনীতি বিস্তৃত। জাতীয় রাজনীতিতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ নাম। ঠিক একবছর আগে ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারের সঙ্গে তিনি কংগ্রেসের সদর দপ্তরে গেছিলেন। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর কানহাইয়া কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। জিগনেশ কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন। রাহুলকে তিনি বলেছিলেন, পরবর্তী গুজরাট নির্বাচনের সময় কংগ্রেসে সরাসরি যোগ দেওয়ার কথা ভাববেন তিনি। জিগনেশকে যখন আমেদাবাদ বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন কংগ্রেস নেতারা সেখানে গিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

গুজরাট নির্বাচন দোরগোড়ায়। তার আগে আসাম পুলিশের এই গ্রেপ্তারি রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন ফেলেছে। জিগনেশকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সম্প্রতি জিগনেশের বেশ কয়েকটি টুইটের প্রতিবাদ করেছিল প্রশাসন। কিন্তু জিগনেশ তা ফিরিয়ে নেননি। এর পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত আছে বলেও অভিযোগ উঠছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)