আল্লামা শফির ‘তেঁতুল বক্তব্য’
৮ জুলাই ২০১৩ক্যানাডা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা ‘নতুনদেশ'-এর অনলাইন সংস্করণে ভিডিওটির কথাগুলো লিখিত আকারে প্রকাশ করা হয়েছে৷ এরপর সেটা ফেসবুকে শেয়ার করেছেন পত্রিকাটির প্রকাশক ও সম্পাদক শওগাত আলী সাগর৷ এতে দেখা যাচ্ছে, আল্লামা শফি তাঁর বক্তব্যে মহিলাদের তুলনা করেছেন ‘তেঁতুল'-এর সঙ্গে৷ তিনি বলেন, ‘‘মহিলাদেরকে দেখলে দিলের মইধ্যে লালা বাইর হয়, বিবাহ করতে ইচ্ছা হয়৷ লাভ ম্যারেজ/কোর্ট ম্যারেজ করতে ইচ্ছা হয়৷''
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী শওগাত আলী সাগরের স্ট্যাটাসের নীচে লিখেছেন, ‘‘এই শফি আজীবন গ্রামীণ ব্যাংক সহ এনজিওদের বিরুদ্ধে বলেছে, এসব প্রতিষ্ঠানকে সুদখোর বলেছে, বলেছে মেয়েদের ঘরের বাইরে বের করেছে এনজিও৷ এবার কিছু বলেনি, কারণ ইউনূসের সাথে রাজনীতি মিলে গেছে৷ এমনই সৎ ধার্মিক সে৷ আর ইউনূস নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলেন৷ এই শফি পোশাক শ্রমিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সম্পর্কে অশ্লীল কথা বললেও চুপ থাকেন৷ কারণ তাঁরও রাজনীতি মিলে যায় এই ধর্মান্ধটার সাথে৷''
লুৎফুন নাহার লতা লিখেছেন, ‘‘সকল নারীদের উচিত এই নষ্ট শফির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা৷'' মাহমুদুর রহমান খোকনের মন্তব্য, ‘‘অশিক্ষিত হলে যা হয়৷''
তবে ফিরোজ আহমেদ নামের আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী আল্লাম শফির কয়েকটি বক্তব্য খণ্ডনের চেষ্টা করেছেন৷ যেমন আল্লামা শফি মেয়েদের চতুর্থ বা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর কথা বলেছেন যেন তারা পরবর্তীতে স্বামীর টাকা-পয়সার হিসেব রাখতে পারে৷ এ প্রসঙ্গে ফিরোজ আহমেদ লিখেছেন, ‘‘জগতের সকল মুহাদ্দিস, যারা হাদীস বিষয়ে পণ্ডিত, তাঁরা হযরত আয়েশার কাছে ঋণী অসংখ্য হাদীস বয়ান করার জন্য৷ অজস্র ছাত্র ছিল তাঁর, এবং অনেকগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ হাদীসের জন্যই না কেবল, সেগুলোর ব্যাখ্যা যেমন তিনি করেছেন, তেমনি খুব সততা আর দৃঢ়তার সাথে রাজনৈতিক স্বার্থে তৈরি হওয়া অনেক দুরভিসন্ধিমূলক হাদিসের প্রতিবাদও করেছেন, সেগুলোর যুক্তির অসাড়তা বুঝিয়ে দিয়েছেন৷''
ফিরোজ আহমেদ বলছেন, আল্লামা শফি মেয়েদের বাজার করতে নিষেধ করেছেন৷ অথচ নবীর আমলে মেয়েরা যে বাজারে যেত, কেনাবেচা করত, তার অজস্র নজির রয়েছে৷ এমনকি খলিফা উমরের আমলে শিক্ষাগত যোগ্যতার গুনে শিফা বিনতে আবদুল্লাহকে বাজার পরিদর্শক নিয়োগ করা হয়েছিল!
এ বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের বক্তব্য জানতে ফেসবুকে ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ' নামের একটি গ্রুপে ঢুঁ মারা হলেও তাতে কোনো কিছু পাওয়া যায় নি৷