অলিম্পিক স্বপ্ন
৯ মে ২০১২২০২০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের সুযোগ পেতে আসরে নেমেছে একাধিক শহর৷ কিন্তু শুধু উৎসাহ, সাফল্য বা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের উপযুক্ত অবকাঠামো থাকলেই চলবে না, প্রয়োজন বিশাল ব্যয়ভার বহন করার ক্ষমতাও৷ ইটালির রাজধানী রোম সেদেশের আর্থিক সংকটের মুখে ২০২০ সালের অলিম্পিকের দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছে৷ কারণ অর্থাভাব৷ একই কারণে মাদ্রিদও হাল ছেড়ে দেবে, এমনটা অনেকেই ভেবেছিলেন৷ কিন্তু মাদ্রিদ চেষ্টা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর৷ রয়টার্স'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কর্মযজ্ঞের কর্মকর্তা টেরেসা সাবেল বলেন, আগামী বছর আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেস'এ যখন এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেখানে মাদ্রিদ দাপটের সঙ্গে নিজের স্বার্থ তুলে ধরবে৷
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বুয়েনস আইরেস'এ আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির বৈঠকে যখন ২০২০ সালের অলিম্পিকের শহর স্থির হবে, তখন মাদ্রিদের সঙ্গে পাল্লা দেবে তুরস্কের ইস্তানবুল, আজেরবাইজানের রাজধানী বাকু, কাতারের রাজধানী দোহা ও জাপানের রাজধানী টোকিও৷
এটাই মাদ্রিদের প্রথম প্রচেষ্টা নয়৷ এর আগে দুবার দৌড়ে নেমেও পিছিয়ে আসতে হয়েছে স্পেনের রাজধানী শহরকে৷ ২০১২ সালের বরাত পায় লন্ডন, ২০১৬ সালে ব্রাজিলের রিও দি জানেইরো৷ কিন্তু হাল ছাড়তে রাজি নয় মাদ্রিদ৷
প্রশ্ন উঠছে, দেশের এমন সংকটের সময় অলিম্পিক আয়োজনের প্রচেষ্টা কি ভালো দেখায়? টেরেসা সাবেল মনে করেন, এই উদ্যোগকে ব্যয়ভারের মাপকাঠিতে দেখা উচিত নয়৷ দেশের জন্য এটা একটা বড় বিনিয়োগ৷ শুধু আর্থিক বা অবকাঠামোয় বিনিয়োগ নয়, এর ফলে মানুষের মনে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যাবে৷ সাবেল অবকাঠামোর দিকটিকেও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না৷ তিনি সাম্প্রতিক কালে ক্রীড়াজগতে স্পেনের উল্লেখযোগ্য সাফল্য তুলে ধরছেন৷ বিশেষ করে ফুটবল ও বাস্কেটবল দল স্পেনকে একের পর এক সাফল্য এনে দিয়েছে৷ টেনিসের ক্ষেত্রেও এগিয়ে চলেছে সেদেশ৷ এছাড়া মাত্র ১০ বছরে মাদ্রিদ ৮৫টি ইউরোপীয় ও ৭৭টি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে৷ আগামী ২ বছরে আরও ৬টি এমন প্রতিযোগিতার আসর বসবে শহরে৷ বেকারত্বের হার কমিয়ে আনতে এই কর্মযজ্ঞ সামান্য হলেও সহায়ক হবে বলে দাবি করেন টেরেসা সাবেল৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ