আর্জেন্টিনার কোপা সাফল্য বিশ্বকাপের স্বপ্ন বাড়িয়ে দিলো

ছবিতে প্রতিটি খেলোয়াড়ের অভিব্যক্তিই বুঝিয়ে দিচ্ছে একটা ট্রফির জন্য কতটা মুখিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা৷ ১৯৯৩ সালের পর কোপা অ্যামেরিকা জিতলো আর্জেন্টিনা৷ শেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল ১৯৮৬ সালে৷‎

রেফারির শেষ বাঁশি শোনার পরই মেসি হাঁটু গেড়ে মাঠে বসে পড়েন, হাত দিয়ে মুখে ঢেকে ফেলেন৷ একটু পরেই সতীর্থরা তার কাছে ছুটে যান৷

ট্রফি নেয়ার পর মাঠে বসে মোবাইলে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন মেসি৷ বার্সেলোনার হয়ে অনেক ট্রফি জিতলেও জাতীয় দলের হয়ে এই প্রথম ট্রফি জিতলেন মেসি৷ এর আগে ২০০৫ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ও ২০০৮ সালে অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন মেসি৷

মেসি জাতীয় দলে খেলা শুরুর পর আর্জেন্টিনা তিনবার কোপার ফাইনালে ও একবার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল৷ কিন্তু সাফল্য আসেনি৷ ২০০৭ সালে কোপার ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে ০-৩ গোলে হার, ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানি ও এরপর ২০১৫ ও ২০১৬ সালে কোপা ফাইনালে চিলির কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল মেসির আর্জেন্টিনা৷ উপরের ছবিটি ২০১৪ বিশ্বকাপের৷

২০১৬ সালে কোপার ফাইনালে হারার পর মেসি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জাতীয় দলের হয়ে তার খেলা শেষ হয়ে গেছে৷ ‘‘এটা আমার জন্য নয়৷ আমি চেষ্টা করেছিলাম, আমার মনে হচ্ছে এটাই শেষ,’’ বলেছিলেন মেসি৷ ছবিতে ২০১৬ সালে কোপার ফাইনালে টাইব্রেকারে পেনাল্টি মিস করার পর মেসিকে দেখা যাচ্ছে৷

রোববার ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে দেশে ফেরে কোপাজয়ী আর্জেন্টিনা৷ তবে করোনার কারণে আনুষ্ঠানিক কোনো উদযাপনের আয়োজন করেনি আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, এএফএ৷ ফলে বিমানবন্দর থেকে এএফএ-র অফিসে গিয়ে সেখান থেকে যার যার গন্তব্যে চলে যান মেসি, ডি মারিয়ারা৷ অবশ্য দেশজুড়ে বিভিন্ন শহরে উৎসবে মেতে উঠেছিলেন আর্জেন্টিনাবাসী৷

আগামী বছর ডিসেম্বরেই কাতারে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে৷ কোপা অ্যামেরিকায় ডে পাউল, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, লাওতারো মার্তিনেজ, এমিলিয়ানো মার্তিনেজরা যে খেলা দেখিয়েছেন, তাতে এবার বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নও দেখছেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা৷