আরাফাতের শোক ভোলেনি ফিলিস্তিন
১০ নভেম্বর ২০০৯১১ই নভেম্বর তাঁর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে শোক আর শ্রদ্ধায় তাঁকে স্মরণ করবে ফিলিস্তিনিরা৷
কিংবদন্তী নেতা ‘বিপ্লবী' আরাফাতের শূন্যতা কোনোভাবেই পূরণ করতে পারেননি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস৷ অভ্যন্তরীণ সমালোচনা, শান্তি প্রক্রিয়ায় স্থবিরতা আর প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের ঐক্য প্রচেষ্টায় হতাশ হয়ে ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি৷
কিন্তু, বেঁচে থাকলে আরাফাত হয়তো তাঁরই দল ফাতাহ'র নেতৃত্বে পশ্চিম তীরে পশ্চিমা সমর্থিত শাসন আর গাজায় ইসলামপন্থী হামাস মুভমেন্টের শাসনে ফিলিস্তিনিদের বিভক্ত হয়ে থাকাটা মেনে নিতেন না৷ নরওয়ের রাজধানী অসলো-তে অন্তর্বর্তী শান্তি চুক্তির মাধ্যমে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে আরাফাত দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যে সীমিত স্বায়ত্ত্বশাসন এনে দিয়েছিলেন তার ১৪ বছর পরও ইসরায়েলের সঙ্গে একটি চূড়ান্ত শান্তি প্রক্রিয়ার আলোচনা আবারও হিমঘরে ঠাঁই নিয়েছে৷
৭৫ বছর বয়সে পাকস্থলীর ফ্লু থেকে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ২০০৪ সালের ১১ই নভেম্বর প্যারিসের একটি হাসপাতালে মারা যান আরাফাত৷তাঁর শূন্যতা যেমন পূরণ হয়নি তেমনি তাঁর শোকও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ফিলিস্তিনিরা৷ মৃত্যুবার্ষিকীর বেশ কদিন আগে সপ্তাহের এক সাধারণ কর্মদিবসে রামাল্লায় তাঁর সমাধিসৌধে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা ৩৫ বছরের ফিলিস্তিনি তরুণ হাসান রুশদী যেমন বলছিলেন,‘‘আরাফাত ছিলেন একজন মহান নেতা, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতীক৷ তাঁকে কখনোই ভোলা যাবে না৷''
প্রতিবেদক: মুনীর উদ্দিন আহমেদ
সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার