‘আমার যৌনতা আমি দেখাতে চাই না’
৩০ নভেম্বর ২০১০ড্যানি বয়েলের স্লামডগ মিলিওনেয়ার ছবির নায়িকার নাম কী? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে যে কেউ কিচ্ছু না ভেবেই বলে দেবে, কেন রে বাবা, ওই তো ফ্রিডা পিন্টো৷ সঠিক উত্তর৷ এক্বেবারে একশোয় একশো৷ কিন্তু স্লামডগের আগে ফ্রিডা যেখানে ছিলেন, এখন আবার নাকি সেখানেই ফিরে গেছেন প্রায়৷ কারণ কী তার? কারণ হল, ফ্রিডা নিজেকে ‘সেক্সি' করে গড়ে তুলতে ব্যর্থ৷ বাজারে এরকমই কানাকানি৷
আগে জেনে নেওয়া যাক, মা (পড়ুন ফ্রিডা) আগে কী ছিলেন? তারপরে জানা যাবে মা পরে কী হইয়াছেন৷ আগে, মানে ওই বিশ্বখ্যাত, অস্কারজয়ী দুনিয়ায় হট্টগোল ফেলে দেওয়া স্লামডগের আগে ফ্রিডা পিন্টোকে কেউই চিনত না৷ তখন মুম্বইয়ে, মানে বলিউডের চোরাবালিতে আরও হাজার হাজার তরুণীর মতই সেরেফ ফ্রিডা একজন লড়াই করে চলা অভিনেত্রী৷ নায়িকার রোল তো অনেক দূরের কথা, একটু মুখ দেখানোর রোলও চট করে জুটছিল না৷ তারপরেই রূপকথার দরজা খুলে গেল হঠাৎ করে৷ ড্যানি বয়েলের স্লামডগে ফ্রিডাই রোম্যান্টিক নায়িকার রোলে৷ তারপর যা হল তা তো গপ্পের গরুর গাছে ওঠাকেও হার মানায়৷
তো, ফ্রিডাকে নায়িকা করে দিয়ে, দুনিয়ায় নামধাম করে স্লামডগের নটেগাছটি তো মুড়িয়ে গেল৷ এবার? নামতে হল বলিউডের মাটিতে৷ সে মাটিতে নায়িকা হয়ে থাকতে গেলে তো রোজ রোজ কাজ চাই৷ শ্যুটিং, লাইট, মেক আপ, অ্যাকশন, কাট... এসব চাই৷ আর তা করতে গেলে নায়িকাকে সামান্য বোঝাপড়া করতেই হয়৷ ফ্রিডার আবার সেখানে বাঘিনীর গোঁ৷ না, এটা করব না, সেটায় রাজি নই, আমি বিশ্বখ্যাত...ইত্যাদি প্রভৃতি৷ সবচেয়ে বড় আপত্তি ওই যৌনতা মাখানো ছবির কোন ভূমিকায় কাজ করতে৷ ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে৷ ফ্রিডা এখন নিয়মিত কাজ পাচ্ছেন না৷
শেষে নিজেই এক টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সেকথা বলে দিয়েছেন ফ্রিডা পিন্টো৷ বলেছেন, ‘আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু বি সেক্সি৷' মানে আমি আমার যৌন আবেদনকে ব্যবহার করতে রাজি নই৷ ওদিকে নিন্দুকের দল, মানে যারা এই অভিনয়ের খেলায় ফ্রিডার প্রতিদ্বন্দ্বী, মানে স্লামডগে কাজ করে ফ্রিডা যেসব নায়িকার হৃদয় ভেঙে দিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে নাম কুড়িয়ে যাদের পিছনে ফেলে দিয়েছেন, সেসব নায়িকা আর নায়িকাদের দলবলের কিন্তু অন্য কথা৷ তারা বলে বেড়াচ্ছে, ওই ‘দরকারি' ব্যাপারটা চেহারায় থাকলে তবে তো! সেটা নেই বলেই তো ‘ওটা চাই না' বলে ঢাক পেটানো!
দেখা যাক, শত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে ড্যানি বয়েলের নায়িকা কতদূর যেতে পারেন এই চোরাবালির সিনেমা রাজ্যে৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম