1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আমাদের কাজ থেমে নেই’

২১ নভেম্বর ২০১১

হঠাৎ করেই ব্লগে শোরগোল, ফেসবুকে হলুদ রঙের ছড়াছড়ি৷ ঢাকার রাস্তায় একদল তরুণ-তরুণী নাকি ফুল বিক্রি করছে৷ তাও পথশিশুদের ছুটি দিয়ে! এই তরুণ-তরুণীরা ‘জাগো’ নামের একটি সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক৷ কেন এসব করছে তারা?

https://p.dw.com/p/13Dzr
Blogger Ali Mahmed in Bangladesh want to encourage child education. He has established three schools for disadvantaged children’s. He is one of the BOBs winner for 2010. Copyright: Ali Mahmed
ছবিটি ব্লগার আলী মাহমেদের পরিচালিত শিক্ষা কেন্দ্রেরছবি: Ali Mahmed

‘জাগো' ফাউন্ডেশন এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা করভী রাখসাদ ডয়চে ভেলেকে একান্ত সাক্ষাৎকার জানান, বাংলাদেশে একটি বড় সমস্যা হচ্ছে শিক্ষা৷ বিশেষ করে শিশুশিক্ষা৷ আমরা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা বস্তির শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছি৷ যেসব শিশু স্কুলে যেতে পারেনা, তাদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করতে কাজ করছে জাগো ফাউন্ডেশন৷

‘জাগো' ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু হয় বছর চারেক আগে৷ শুরুতে মাত্র সাতজন এই প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করেন৷ তবে বর্তমানে এই ফাউন্ডেশনে স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা সাত হাজার৷ রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দশটি জেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে জাগো৷

শুধু পথশিশুদের জন্য শিক্ষা নয়, তাদের অভিভাবকদের জন্যও কাজের ব্যবস্থা করছে জাগো ফাউন্ডেশন৷ এই উদ্যোগের ফলে শিশুরা পড়ালেখায় আরো মনোযোগী হচ্ছে, তাদের উপর থেকে পরিবারের চাপ কমে যাচ্ছে৷

করভী জানান, ‘জাগো'র স্বেচ্ছাসেবীরা বয়সে তরুণ এবং শিক্ষার্থী৷ বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বয়স ২৫ বছরের নিচে৷ আমরা এই তরুণদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছি, যেখানে তারা কাজ করতে পারে৷

বাংলা, ইংরেজি মাধ্যমসহ কিছু মাদ্রাসার শিক্ষার্থীও ‘জাগো'র স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছে৷ পথশিশুদের সমস্যাসহ সমাজের অন্যান্য জটিলতা খুঁজে বের করা এবং সেসবের সামাধান করতে উদ্যোগী হচ্ছে এই স্বেচ্ছাসেবীরা৷

‘জাগো'র কর্মকাণ্ড নিয়ে সম্প্রতি কিছু সমালোচনাও শোনা গেছে৷ সেসবে অবশ্য দমে যাওয়ার পাত্র নন করভী৷ বরং তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের কাজ থেমে নেই৷ মানুষ কথা বলবে, বলে যাক৷ তারা যদি আমাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে, তবে প্রমাণ করে দেখাক৷ যেহেতু আমাদের এই নিয়ে কোন চিন্তা নেই, তাই আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি''৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক