আমফানঃ কর্ণাটকে বৃষ্টি শুরু, সতর্ক পশ্চিমবঙ্গ
১৮ মে ২০২০আমফানের প্রভাবে ভারতের কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। কর্ণাটকে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তেলেঙ্গানায় হাওয়ার জোর এতটাই প্রবল ছিল যে তার ফলে একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রবল হাওয়ায় চলন্ত বাস পিছিয়ে যায় এবং তা একটি গাছে গিয়ে ধাক্কা মারে।
মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে ওড়িশা, আসাম, মেঘালয়, অন্ধ্র, সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায়। বুধবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সঙ্গে থাকবে ঝড়। ভারতের কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান বিভাগের মতে, প্রায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে এই ঝড় ধেয়ে আসতে পারে। সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দিঘা, মন্দারমণি, সুন্দরবনের এলাকাগুলি। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ওড়িশাও। এমনকী আশঙ্কা করা হচ্ছে, বছরখানেক আগে ওড়িশায় বিপর্যয় ঘটানো ফণীর চেয়েও বেশি তাণ্ডব করতে পারে আমফান।
আমফান নিয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন। সেখানে পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়েছে। ন্য়াশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স বা এনডিআরএফের ৩৭টি দলকে পশ্চিমবঙ্গে এবং ২৭টি দলকে ওড়িশায় পাঠানো হয়েছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, আমফান নিয়ে কতটা চিন্তিত কেন্দ্রীয় সরকার।
পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করে দিয়েছে। নৌকাও বেঁধে রাখতে বলা হয়েছে। সকলকে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন গৃহপালিত পশুদের বেঁধে না রাখেন। ঘূর্ণিঝড় এলে বৈদ্যুতিক লাইন ও গ্যাসের সুইচ বন্ধ রাখতে হবে। কাঁচা বাড়ি ও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে কেউ যেন না থাকেন। তাঁরা যেন নিরাপদ আশ্রয় বা পাকা বাড়ি খুঁজে নেন।
আর ঝড়ের মধ্যেও করোনার বিধি পালন করতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। ঘন ঘন হাত ধুতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। রাজ্য সরকার ৪৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, ৩০টি বন্যাত্রাণ আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করেছে। দিঘা, রামনগর, মন্দারমণির মতো উপকূলবর্তী জায়গায় বারবার এই সরকারি ঘোষণা হচ্ছে। সুন্দরবনেও সাইক্লোন সেন্টার খোলা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে সাইক্লোন সেন্টারগুলি আপাতত আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দ্রুত তা আবার সকলের জন্য খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জিএইচ/এসজি(বিডি নিউজ, আবাপ)