1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবারো মাঠে ব্রাজিলের রোনাল্ডো

৭ জুন ২০১১

সেই ২০০৬ সালে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হারের পর ব্রাজিল দল থেকে হারিয়ে যান রোনাল্ডো৷ চেষ্টা করেছিলেন ফেরার৷ কিন্তু ফিটনেস, ইনজুরি সব মিলিয়ে সবুজ মাঠে জাতীয় দলের জার্সি আর গায়ে জড়াতে পারেননি তিনি৷

https://p.dw.com/p/11VUH
Brazil's Ronaldo celebrates after scoring his sides opening goal during the 2002 World Cup semifinal soccer match between Brazil and Turkey Wednesday, June 26, 2002 in Saitama, Japan
হলুদ জার্সি আবার গায়ে চাপাবেন রোনাল্ডোছবি: AP

বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ছয়টা ৫০ মিনিটে আবার মাঠে নামবেন তিনি৷ একেবারে ব্রাজিল দলের হয়ে, হলুদ জার্সি গায়ে৷ রোমানিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ সেটা৷ বার্তাসংস্থাগুলোর খবর অনুযায়ী, খেলার প্রথমার্ধের ৩০তম মিনিটে মাঠে নামবেন রোনাল্ডো৷ খেলবেন প্রথমার্ধের শেষ অবধি৷

রোনাল্ডো গত ফেব্রুয়ারিতে অবসরের ঘোষণা দেন৷ তখন তিনি বলেছিলেন, শরীর আর চলছে না৷ বর্তমানে তাঁর বয়স ৩৪ বছর৷ এই অবস্থা মাঠে নামার সুযোগ করে দিয়েছে ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশন৷

বলা হচ্ছে, আনুষ্ঠানিক বিদায় নেওয়ার একটি সুযোগ তৈরি করা হয়েছে ‘দ্য ফেনোমেনন' এর জন্য৷ ব্রাজিলের জাতীয় দলের কোচ মানো মেনেজেস জানিয়েছেন, এই ম্যাচটি রোনাল্ডোর জন্য স্মরণীয় রাখতে সব চেষ্টাই করা হবে৷ ব্রাজিলের আরেক স্ট্রাইকার রোবিনহো'র কথায়, বিশ্ব ফুটবলে রোনাল্ডো একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব৷ জাতীয় দলে অত্যন্ত উজ্জ্বল সময় কাটিয়েছেন তিনি৷ মোটের ওপর তিনি একজন চমৎকার মানুষ৷

রোনাল্ডো বিশ্বকাপ ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা৷ বিশ্বকাপে মোট ১৫টি গোল করেছেন তিনি৷ ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল দলের খেলোয়াড় ছিলেন তিনি, যদিও সে আসরে একটি ম্যাচেও মাঠে নামেননি তিনি৷ এরপর ১৯৯৮ সালে ব্রাজিল কাপ না জিতলেও সে আসরে তারকা খ্যাতি পান রোনাল্ডো৷ ২০০২ সালের বিশ্বকাপ জয় করে ব্রাজিল, এই জয়ের পেছনে বড় অবদান রাখেন তিনি৷ ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নেয় ব্রাজিল৷ সেই আসরে রোনাল্ডো গোল করেছিলেন একাধিক, কিন্তু ঠিক জ্বলে উঠতে পারেননি৷

ভবিষ্যতে, রোনাল্ডো কী করবেন তা নিয়েও জল্পনাকল্পনা চলছে৷ এখন পর্যন্ত যা খবর, তাতে একটি ক্রীড়া বিপণন এজেন্সি নিয়ে সময় কাটাবেন তিনি৷ সেখানে রোনাল্ডোর অংশীদারিত্বও রয়েছে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক