1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ?

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি, এপি)৩০ জানুয়ারি ২০১৮

সোমবার রাশিয়া প্রশ্নে ট্রাম্প প্রশাসন একাধিক দিক থেকে বাড়তি চাপের মুখে পড়েছে৷ এফবিআই-এর উপ প্রধানের পদত্যাগের পাশাপাশি সিআইএ প্রধানের মন্তব্য নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে৷

https://p.dw.com/p/2rk2V
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুটিন
ছবি: Getty Images/AFP

রাশিয়ার প্রশ্নে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের সংঘাত আরও তীব্র হয়ে উঠছে৷ সিআইএ প্রধান মাইক পম্পেও এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ২০১৮ সালে মার্কিন সংসদ নির্বাচনেও রাশিয়া হস্তক্ষেপ করতে পারে৷ তবে তা সত্ত্বেও অ্যামেরিকায় মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আস্থা প্রকাশ করেন৷

রাশিয়া প্রশ্নে সংঘাতের জের ধরে এফবিআই-এর উপ-প্রধান অ্যান্ড্রু ম্যাককেব পদত্যাগ করেছেন৷ ট্রাম্প সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাট দলের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছিলেন৷

মার্কিন সংসদও রাশিয়া প্রশ্নে আরও সক্রিয় হয়ে উঠছে৷ মার্কিন কংগ্রেস রাশিয়ার উপর বাড়তি নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্ত নিলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনই সেই পদক্ষেপ নিতে নারাজ৷ এর মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন-এর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের উপর চাপ বাড়াতে চেয়েছিল কংগ্রেস৷ তাদের একটি তালিকা তৈরি করে ভবিষ্যতে তাদের উপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা চাপানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল৷ কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তি, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলির উপর চাপ বাড়াতে গত বছর যে আইন কার্যকর করা হয়েছে, তার ফল পাওয়া যাচ্ছে৷ রাশিয়ার অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ কমে গেছে৷ তাই এখনই আলাদা করে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর প্রয়োজন নেই৷

বলা বাহুল্য, ট্রাম্প প্রশাসনের এই মনোভাবের ফলে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷ বিগত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার অবৈধ হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত শেষ হবার আগেই আগামী নির্বাচনে মার্কিন জনমতের উপর প্রভাব ফেলতে রাশিয়ার সক্রিয় প্রস্তুতি নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছে৷ সেই প্রেক্ষাপটে রাশিয়া প্রশ্নে ট্রাম্প প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷

এদিকে সেনেট ইনটেলিজেন্স কমিটির রিপাবলিকান সদস্যরা রাশিয়া তদন্তে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির ‘অবৈধ' কার্যকলাপ তুলে ধরতে একটি গোপন মেমো প্রকাশ করতে ভোট দিয়েছেন৷ তাঁদের অভিযোগ, এফবিআই ও বিচার মন্ত্রণালয় সেই কাজে নির্বাচনি প্রচারের সময় ট্রাম্প টিমের উপর অবৈধ নজরদারি চালিয়েছিল৷ ডেমোক্র্যাট দলও সেই মেমো প্রকাশের পক্ষে৷ তবে তাদের অভিযোগ, সেই মেমোতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির প্রকৃত ভূমিকা স্পষ্ট হবে না৷ কারণ তাতে অনেক ত্রুটি রয়েছে এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ নেই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য