প্রকাশ্যে ওবামা
২৫ এপ্রিল ২০১৭উত্তরসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনের পরঅ্যামেরিকায় যখন বিহ্ললতার ছায়া নেমে এসেছে, প্রেসিডেন্ট ওবামা তখনও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশা না ছাড়ার পরামর্শ দিচ্ছিলেন মানুষকে৷ এবার ট্রাম্প প্রশাসনের ১০০ দিন পূর্তির ঠিক আগে প্রায় একই সুর শোনা গেল ওবামার কণ্ঠে৷
তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর বার্তা হলো, হাত গুটিয়ে বসে থাকলে কিছু হবে না৷ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে হাল ধরতে এগিয়ে আসতে হবে৷ সমাজ ও রাজনীতির ক্ষেত্রে তাদের সক্রিয় হতে হবে৷ বর্তমান রাজনৈতিক বিভাজনের সময় এমনটা অত্যন্ত জরুরি৷
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে প্রায় ৪০০ দর্শকের সামনে ওবামা তাঁর স্বভাবসিদ্ধ রসিকতা করতে ছাড়েননি৷ প্রথমেই দর্শকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখেন, ‘‘আমি চলে যাবার পর কী কী হয়েছে?'' পরে এক ছাত্র যখন স্মৃতিচারণ করে বলেন যে, ওবামা প্রেসিডেন্ট হবার সময়ে তিনি অষ্টম শ্রেণিতে পড়তেন, তখন ওবামা হেসে বলেন, তিনি তাহলে বেশ বুড়ো হয়ে গেছেন৷ সেলফি সম্পর্কে তরুণ-তরুণীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, তাঁর ছাত্রজীবনে এমন ঢালাওভাবে ছবি তোলার সুযোগ থাকলে এবং সে সব ছবি প্রকাশিত হলে তিনি সম্ভবত প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না৷
শুধু পরামর্শ ও উপদেশ নয়, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামা এখনও সমাজে অবদান রাখতে চান৷ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করতে তিনি কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন৷ তারা দায়িত্ব গ্রহণ করে বিশ্বে পরিবর্তন আনতে চাইলে তিনি সাহায্য করবেন৷ শিকাগো শহরে ‘ওবামা সেন্টার' গড়ে তোলা হচ্ছে, যেখানে তরুণ প্রজন্মকে সক্রিয় করে তোলার কাজ হবে৷
সোমবারের ভাষণে তিনি ওয়াশিংটনের ক্ষমতাকেন্দ্রে কিছু সমস্যারও উল্লেখ করেন৷ বিশেষ করে রাজনীতি জগতে ‘টাকার গরম' এমন মাত্রায় পৌঁছেছে, তার ফলে ঐকমত্য কঠিন হয়ে উঠছে৷ বিশেষ কিছু মহল তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে ওয়াশিংটনে আধিপত্য করে চলেছে বলে মনে করেন ওবামা৷
উল্লেখ্য, আগামী মাসে ওবামা বার্লিনে ব্রান্ডেনবুর্গ তোরণের সামনে প্রোটেস্ট্যান্ট সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গেও আলোচনা করবেন তিনি৷
এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)