আবার জার্মান স্কুলে হামলা, আহত দশ
১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯আবার এক জার্মান স্কুলছাত্র নিজের স্কুলে হামলা চালিয়ে দশজনকে আহত করেছে৷ বাভারিয়ার আনশবাখের এই ঘটনা যদিও মাস ছয়েক আগে ভিনেনডেন-এর স্কুলের ঘটনার মত অতটা মারাত্মক নয়৷ তবুও, দুটি ঘটনার চরিত্র প্রায় একইরকম৷ তবে এবারের হামলার ঘটনায় বন্দুক ব্যবহৃত হয়নি৷ হামলাকারী আঠারো বছরের তরুণ মলোটভ ককটেল ছুঁড়েছিল, যাতে নয়জন ছাত্রছাত্রী এবং একজন শিক্ষক আহত হন৷ দুটি ছাত্রীর মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে, জানাচ্ছে পুলিশ৷ মলোটভ ককটেল ছাড়াও কুঠার এবং ছুরি দিয়েও হামলা চালায় এই তরুণ৷
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায়৷ বাভারিয়ার ন্যুরেনবার্গের কাছে ছবির মত সাজানো মধ্যযুগীয় শহর আনশবাখের নামজাদা হাইস্কুল গিমনাজিয়াম কারোলিনাম-এ সশস্ত্র অবস্থায় ওই ছাত্র ঢুকে পড়ে হামলা চালালে স্কুল কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে ফোন করে৷ পুলিশ এসে পৌঁছয় ঠিক এগারো মিনিটের মাথায়৷ হামলাকারী তরুণটি তখনও স্কুলেই ছিল৷ পুলিশ তাকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিলে সে রাজি হয় নি৷ এরপরই পুলিশ তাকে গুলি করে আহত করে এবং গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছেন আনশবাখের পুলিশের মুখপাত্র উডো ড্রেহার৷ ওই তরুণের শরীরে বেশ কয়েকটি গুলি লেগেছে তবে তার জীবনসংকট নয়৷ যদিও হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ওই ১৮ বছর বয়সী ছাত্রটি এখনও কথা বলার মত অবস্থায় আসেনি৷
ভিনেনডেন শহরের ঘটনায় টিম কে নামের যে তরুণটি জড়িত ছিল, সে মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিল বলে জানা যায় পরে৷ নিঃসঙ্গতা এবং বন্ধুহীনতা থেকেই সে তার বাবার বন্দুক চুরি করে ১৭ জন সহপাঠীকে হত্যা করে এবং শেষে নিজেও আত্মহত্যা করে৷ আনশবাখের এই তরুণের সেরকম নিঃসঙ্গ বা ‘লোনার' বলে কোনরকম অতীত নেই বলে জানা গেছে৷ তবে কেন সে এভাবে স্কুলে ঢুকে হামলা চালাল তা এখনও স্পষ্ট নয়৷
আনশবাখের যে স্কুলে এই হামলা হয়েছে, সেই স্কুলটিরও যথেষ্ট সুনাম রয়েছে৷ স্কুলের মুখপাত্র লুডভিগ উন্গার জানিয়েছেন, এই স্কুলের বিরুদ্ধে বা তাদের ছাত্রছাত্রীদের আচরণ নিয়ে এ যাবত কোনরকম অভিযোগ নেই৷ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এ ধরণের ধ্বংসাত্মক আচরণের নেপথ্যের ব্যাখ্যা হয়তো বা মনস্তাত্বিকরাই দিতে পারবেন অদূর ভবিষ্যতে৷
প্রতিবেদনঃ সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্পাদনাঃ হোসাইন আবদুল হাই