আবার চাঁদে নামার চেষ্টা শুরু করেছে জাপান
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩এইচ২-এ রকেটটি দক্ষিণ জাপানের তানেগাশিমা স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়৷ প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কয়েকবার এর উৎক্ষেপণ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল৷
সপ্তাহ দুয়েক আগে ভারত প্রথম দেশ হিসাবে সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩ নামে একটি মহাকাশযান অবতরণ করাতে সফল হয়৷
জাপানের রকেটটিতে ‘মুন স্নাইপার' ল্যান্ডার আছে, যার আনুষ্ঠানিক নাম ‘স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন' বা স্লিম৷ এটি চাঁদে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের ১০০ মিটারের মধ্যে অবতরণের চেষ্টা করবে, যা আগে কখনও সম্ভব হয়নি৷ এর আগে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের বেশ কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে ল্যান্ডারগুলো নেমেছে৷
রকেট উৎক্ষেপণের আগে জাক্সা জানায়, স্লিম ল্যান্ডার সফলভাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের ১০০ মিটারের মধ্যে নামতে সফল হলে ভবিষ্যতে মানুষ যেখানে চায় সেখানে অবতরণ করতে পারবে- এখন শুধুমাত্র যেখানে অবতরণ করা সহজ, সেখানে অবতরণ করা হচ্ছে৷ এছাড়া স্লিম ল্যান্ডার সফল হলে ভবিষ্যতে চাঁদের চেয়ে কম সম্পদ আছে এমন কোনো গ্রহেও যাওয়া সম্ভব হতে পারে৷
জাপানের রকেটটিতে জাক্সা, নাসা ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার তৈরি একটি গবেষণা উপগ্রহও আছে৷ এটি মহাবিশ্বের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গরম গ্যাস প্লাজমা বায়ু পর্যবেক্ষণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ এটি ভর ও শক্তি প্রবাহের পাশাপাশি মহাজাগতিক বস্তুর গঠন এবং বিবর্তন বুঝতে সাহায্য করবে৷
জাপানের অতীত ব্যর্থতা
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ‘আর্টেমিস' কর্মসূচির অংশ হিসাবে ওমোতেনাশি নামে একটি ল্যান্ডার চাঁদে পাঠিয়েছিল৷ কিন্তু অবতরণের আগেই তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ এটি সফল হলে ওমোতেনাশি হতো চাঁদে অবতরণ করা পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ল্যান্ডার৷
এছাড়া গত এপ্রিলে জাপানের একটি স্টার্টআপ ‘আইস্পেস' চাঁদে অবতরণকারী প্রথম বেসরকারি কোম্পানি হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়৷
ভারত ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীন চাঁদে সফলভাবে মহাকাশযান অবতরণ করাতে পেরেছে৷
জেডএইচ/কেএম (এএফপি, রয়টার্স)