আফগানিস্তানের ভেঙ্গে পড়া স্বাস্থ্যখাত: কাবুলের শিশু হাসপাতালের চিত্র
হাসপাতালে শয্যা খালি নেই, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর্মী নেই, আছে ঔষধ আর সরঞ্জামের সংকট৷ আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে বন্ধ অনেক হাসপাতাল, যেগুলো খোলা সেগুলোর এমনই পরিস্থিতি৷ কাবুলের একটি শিশু হাসপাতালের চিত্র দেখুন ছবিঘরে৷
এক ইনকিউবেটর, তিন শিশু
কাবুলের ইন্দিরা গান্ধি শিশু হাসপাতালের ২৪ অক্টোবরের চিত্র এটি৷ একটি ইনকিউবেটরের ভিতরেই জায়গা দিতে হয়েছে তিন শিশুকে৷
শয্যা ভাগাভাগি
শুধু ইনকিউবেটর নয় সাধারণ ইউনিটগুলোতেও রয়েছে অসুস্থ্য শিশুদের চাপ৷ ম্যাটারনিটি ইউনিটে এক শয্যাতেই দুই শিশুকে তাই শয্যা ভাগাভাগি করতে হচ্ছে৷
স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর চাপ
যেখানে একজন নার্সকে আগে দুইটি বা তিনটি শিশুর দেখাশোনা করতে হতো, সেখানে এখন কুড়ি বা তার বেশি শিশুর দেখভাল করতে হচ্ছে৷ তালেবান ক্ষমতা দখলের পরে অনেক স্বাস্থ্যকর্মী দেশ ছেড়ে যাওয়ায় এই চাপ বেড়েছে৷
অপুষ্ট শিশু
ধীরে ধীরে হাসপাতালে যুদ্ধাহত রোগীদের চাপ কমেছে৷ কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটে বাড়ছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা৷ এতে হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত অপুষ্টিজনিত অসুখে ভোগা রোগী ও শিশুর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷
জাতিসংঘের সতর্কতা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে আফগানিস্তানের ৯৫ শতাংশ মানুষই নিত্যদিনের খাবার যোগাড় করতে পারছেন না৷ আন্তর্জাতিক সহায়তা কমায় দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে বলে সতর্ক করেছে তারা৷
যে কারণে বাড়তি চাপ
সোভিয়েত আমলে ১৯৮৫ সালে এই হাসপাতালের যাত্রা শুরু৷ এটি পরিচালনার জন্য অর্থের যোগান দিয়ে আসছিল ভারত৷ কাবুলের আশেপাশের প্রদেশের বিভিন্ন ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় ৩৬০ শয্যার হাসপাতালটিকে এখন সক্ষমতার চেয়েও বেশি চাপ বহন করতে হচ্ছে৷
আইসিইউ
হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেই পর্যাপ্ত আলো৷ সেখানে উৎকণ্ঠিত অপেক্ষায় শিশুদের পরিবারের সদস্যরা৷
চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব
ইন্দিরা গান্ধি শিশু হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ লতিফ বাহের বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ হাসপাতালটিতে কিছু সাহায্য পাঠিয়েছে৷ কিন্তু ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রয়োজন মেটাতে দ্রুতই আরো সহযোগিতা প্রয়োজন৷ তিনি বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আরো সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷ আশা করি তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রাখবে৷’’