আফগানিস্তানে সেনা থাকার মেয়াদ বাড়াচ্ছে জার্মানি
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১জার্মান মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত, ২০২২ পর্যন্ত জার্মানির সেনা আফগানিস্তানে থাকতে পারবে। এখন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে অনুমোদন পেলেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত জার্মান সেনার আফগানিস্তানে থাকার অনুমোদন আছে। আগেই সরকার ও পার্লামেন্ট সেই অনুমোদন দিয়েছিল। তাই মার্চের পর সেনা রাখতে হলে নতুন করে অনুমোদন প্রয়োজন। সেই কাজটাই করছে সরকার।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তাতে জার্মানির সেনা ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আফগানিস্তানে থাকতে পারবে। জার্মান সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এখনো জটিল। সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও বিপদের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আফগানিস্তানে জার্মানির এক হাজার একশ সেনা আছে। ন্যাটোর পিস মিশনের অঙ্গ হিসাবে জার্মান সেনা আফগানিস্তানে আছে। অ্যামেরিকার পরেই অন্য বিদেশি রাষ্ট্রের মধ্যে আফগানিস্তানে সব চেয়ে বেশি সেনা জার্মানির। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আফগানিস্তানে এখন সর্বোচ্চ এক হাজার ৩০০ সেনা রাখা যাবে। অর্থাৎ, চাইলে ভবিষ্যতে সেনার সংখ্যা সামান্য বাড়ানো যেতে পারে।
ন্যাটো এক সপ্তাহ আগে আফগানিস্তানে সেনা রাখার বিষয়ে আলোচনা করেছিল। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জানিয়েছেন, সেনা রাখা নিয়ে অনেক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আছে।
ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকার সময় তালেবানের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, ২০২১ সালের ১ মে-র আগে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সেই সিদ্ধান্ত এখন খতিয়ে দেখছেন।
এই পরিস্থিতিতে জার্মানি সেখানে সেনা রাখার মেয়াদ দশ মাস বাড়াবার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন, সেনা প্রত্যাহার নিয়ে তাড়াহুড়ো করা হবে না। আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনাও খুবই ধীরে এগোচ্ছে।
জিএইচ/এসজি(এএফপি, এপি)