নারীর উপর তালেবানের বিধিনিষেধ বাড়ছে
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১কাবুলের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ছেলে ও মেয়ে শিশুদের আলাদা শ্রেণিকক্ষে বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ আর যেসব মেয়ের বয়স বেশি তাদের স্কুলে ফেরত যাওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে৷
গতমাসে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করা তালেবান শুধু ছেলে শিক্ষার্থী এবং পুরুষ শিক্ষকদের ক্লাসরুমে যেতে বলেছে৷
কিন্তু মাধ্যমিক স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের স্কুলে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি তালেবান৷ ফলে তাদের মধ্যে তীব্র অনিশ্চয়তা কাজ করছে৷
এর আগে নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে আফগানিস্তান শাসন করার সময় মেয়ে এবং নারীদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল তালেবান এবং তাদেরকে জনজীবন থেকেও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল৷
তবে, ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠীটি এবার নিজেদের আগের চেয়ে কিছুটা উদারপন্থি হিসেবে দেখাতে চাচ্ছে৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কর্মকাণ্ডে অতীতের কট্টর অবস্থানেরই প্রমাণ মিলছে৷
নারী মন্ত্রণালয়কে অনৈতিকতারোধের দপ্তরে রূপান্তর
কাবুলের ক্ষমতা দখলের পর তালেবান দেশটির নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দিয়েছে৷ সেখানে এখন ‘পুণ্যের প্রচার এবং অনৈতিকতারোধের' দপ্তরে রূপান্তর করা হয়েছে৷ দুই দশক আগে তালেবানের তৈরি এরকম এক দপ্তর ধর্মীয় মতবাদ কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে গিয়ে কুখ্যাতি অর্জন করেছিল৷
গত কয়েকদিন ধরেই নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা অভিযোগ করে আসছিলেন যে তাদের অনেকে চাকুরি হারাচ্ছেন৷ বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, বিশ্বব্যাংকের নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মীদেরও শনিবার বের করে দেয়া হয়েছে৷
এই পরিস্থিতিতে আফগান মেয়েদের ভবিষ্যত নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংগঠন ইউনিসেফ৷
‘‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে অপেক্ষাকৃত বয়সি থেকে শুরু করে সব মেয়েরা দ্রুত যাতে লেখাপড়া আবার শুরু করতে পারে৷ আর এজন্য নারী শিক্ষকদেরকেও স্কুলে ফিরতে সুযোগ দিতে হবে,'' এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইউনিসেফ৷
এআই/এসএস (এএফপি, এপি, রয়টার্স)