সৈন্য প্রত্যাহারের হুমকি
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪২০১০ সালে এক লক্ষ মার্কিন সৈন্য ছিল আফগানিস্তানে৷ তবে সংখ্যাটা কমে এখন ৩৩ হাজারে এসে ঠেকেছে৷ সব মার্কিন সৈন্য ফিরিয়ে নেয়া হলে আফগান সরকার তালেবানকে মোকাবিলা করতে পারবে কিনা এ নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ তা সত্ত্বেও আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রস্তাবিত নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে অনিচ্ছা প্রকাশ করে আসছেন৷ উপরন্তু গত কয়েক মাস ধরে আফগানিস্তানের আবাসিক এলাকায় সেনা অভিযান এবং বিমান হামলা বন্ধ করার জন্য ওবামা সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়ে আসছেন তিনি৷ দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তি (বিএসএ) স্বাক্ষরে তাঁর এই অনীহার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্কের উষ্ণতা কমছে৷ ওবামার হুমকি তারই বহিপ্রকাশ৷
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনকে দেয়া ওবামার এক নির্দেশে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে উঠেছে৷ পেন্টাগনকে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, আফগানিস্তান বিএসএ স্বাক্ষর না করলে সে দেশ থেকে যেন সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া হয়৷ পরে হামিদ কারজাই-এর সঙ্গেও টেলিফোনে এ নিয়ে কথা বলেছেন ওবামা৷ টেলিফোন কথোপকথনে তিনি জানান, চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে আফগানিস্তানে সীমিত সংখ্যক সৈন্য রাখতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র৷ পেন্টাগনকে দেয়া ওবামার নির্দেশ এবং কারজাই-এর সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের বিষয়টি এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস৷
যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকেই বলে আসছে বিএসএ স্বাক্ষর না করা হলে আফগানিস্তানে তাদের সৈন্য মোতায়েন রাখা সম্ভব হবেনা৷ দেশটি মনে করে, এ বছরের শেষ নাগাদ সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা থাকলেও এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেই কেবল তারপরও আফগানিস্তানের নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু মার্কিন সৈন্য রাখা আইনসম্মত হবে৷
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত উদ্যোগ সত্ত্বেও আফগানিস্তান এখনো বিএসএ স্বাক্ষরে আগ্রহ দেখায়নি৷ গত বছরও আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই-এর সঙ্গে এ বিষয়ে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন বারাক ওবামা৷ দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে অনুষ্ঠিত ২৫ জুনের সেই আলোচনার পর আট মাস অতিবাহিত হলেও আফগানিস্তান আগের অবস্থানে এখনো অনড়৷
এসিবি/এসবি (এপি, রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)