সব জানে ফেসবুক!
১৬ জুলাই ২০১৪বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হারে ব্রাজিল৷ এমন জয় আসলে কোন পক্ষেরই প্রত্যাশায় ছিল না৷ অনেকে ফেসবুকে হয়ত মজা করে লিখেছিলেন, ‘আজ এক হালি গোল দেবে জার্মানি৷' কিন্তু দেখা গেলো সেই মজা করা প্রত্যাশাও টপকে গেল জার্মানি৷ আর এমন হারের পর অনেকেই ব্রাজিলের সঙ্গ ত্যাগ করেছেন৷ তাহলে গেছেন কোথায়?
ফেসবুকের ডাটা সায়েন্স টিম এই বিষয়ে গবেষণা করেছে৷ তাদের দেয়া হিসেব অনুযায়ী, সেমিফাইনালের পর ব্রাজিলের ৭১ শতাংশ সমর্থক জার্মানিকে সমর্থন দিতে শুরু করেছে৷ বাকি একুশ শতাংশ গিয়েছে আর্জেন্টিনার দিকে৷ এই হিসেবে অবশ্য বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই৷ কেননা আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের ফুটবল ভক্তদের মধ্যকার বৈরি সম্পর্কের কথা বাঙালি মাত্রই জানেন৷
সামগ্রিকভাবে কিন্তু বিষয়টি একটু ভিন্ন ছিল৷ সাধারণত যে দল যার কাছে হেরেছে, সেদলের সমর্থকরা পরবর্তীতে বিজয়ী দলের প্রতিদ্বন্দ্বী দলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে৷ যেমন দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্রাজিলের কাছে হেরে যাওয়া চিলির ৬১ শতাংশ সমর্থক কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে কলম্বিয়াকে সমর্থন করেছে৷
প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপ ফেসবুকে নতুন রেকর্ড গড়েছে৷ সামাজিক যোগাযোগ সাইটটির ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় বিশ্বকাপ৷ টুর্নামেন্ট চলাকালে ৩৫০ মিলিয়ন ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রায় তিন বিলিয়ন ইন্টাব়্যাকশনে (লাইক, কমেন্ট, শেয়ার) অংশ নিয়েছেন৷ আর ফাইনালে জার্মানি এবং আর্জেন্টিনার স্ব স্ব দেশের ৯৫ শতাংশ ফুটবল সমর্থক তাদের নিজেদের দলকে সমর্থন জানিয়েছে৷
বিশ্বকাপ দেখেন এমন ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ৫৫ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ফাইনালে জার্মানি জয়ী হবে৷ আর বাকিরা ছিলেন আর্জেন্টিনার পক্ষে৷ এমনকি সেমিফাইনালে দু'বার বিশ্বকাপ জয়ীদের কাছে পরাজিত নেদারল্যান্ডসের ফুটবল ভক্তদের ৮১ শতাংশ গিয়েছে জার্মানির দলে৷ বাকিরা সমর্থন জানিয়েছে আর্জেন্টিনাকে৷
প্রশ্ন করতে পারেন, ফেসবুক এসব তথ্য কিভাবে যোগাড় করেছে? আসলে একাজে সহায়তা করেছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরাই৷ খেলা চলাকালে অনেকেই স্ট্যাটাসে প্রিয় দলের পতাকার ইমোটিকসহ জানিয়েছেন খেলা দেখার কথা কিংবা লিখেছেন ‘গো টিম ইউএসএ' কিংবা ‘ভাই ব্রাজিলের' মতো বিভিন্ন বার্তা৷ পাশাপাশি ‘ট্রেন্ডিং ওয়ার্ল্ড কাপ' পাতাতেও বিভিন্ন সমীক্ষার আয়োজন করেছিল ফেসবুক৷ এসব কিছুই পর্যালোচনা করেছে ডাটা সায়েন্স টিম৷