আনিস থেকে হাঁসখালি, তদন্ত কোথায় দাঁড়িয়ে
ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু থেকে শুরু করে বগটুই, হাঁসখালি পর্যন্ত একের পর এক ঘটনার তদন্ত এখন কোথায় দাঁড়িয়ে?
আনিস নিয়ে রিপোর্ট পেশ
গত মঙ্গলবার আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে প্রোগ্রেস রিপোর্ট পেশ করেছে পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল(সিট)। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজন হোমগার্ড ও একজন সিভিক ভল্যান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। দুইজন এখন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে আছে।
কী জানিয়েছে সিট
সিট ৮২ পাতার রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে তারা তদন্তের বিবরণ দিয়ে জানিয়েছে, এখন তাদের তদন্ত একেবারে শেষ পর্যায়ে। হাইকোর্টে আগামী ২৫ এপ্রিল আবার মামলার শুনানি হবে।
সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন বাবা
আনিসের বাবা সালেম খান বলেছেন, রাজ্য পুলিশের উপর তার কোনো ভরসা নেই। তার অভিযোগ, পুলিশই তার ছেলেকে মেরেছে। তাই তিনি সিবিআই তদন্ত চান। যদি দরকার হয়, তার জন্য তিনি সুপ্রিম কোর্টে যাবেন।
ক্ষমা চাইতে হবে
বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে সালেম খান নানা ধরনের কথা বলছেন। তার মধ্যে বেশ কিছু কথা আপত্তিকর। সালেম খানকে হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চাইতে বলেছেন তিনি।
বগটুই নিয়ে সিবিআই
রামপুরহাটের বগটুই-কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। দুইটি ঘটনার আলাদা তদন্ত হচ্ছে। একটা ভাদু শেখের হত্যার এবং অন্যটি গ্রামে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার। এখনো পর্যন্ত মোট ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার মধ্যে সিবিআই করেছে জনা সাতেককে। বাকিদের পুলিশ আগে করেছিল।
মুম্বই থেকে গ্রেপ্তার
গত ৭ এপ্রিল মুম্বই থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। অভিযোগ, এই চারজন মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ঘনিষ্ঠ ও বগটুই-কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া সমীর শেখ নামে একজনকে প্রথমে দীর্ঘ জেরা করার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উপরের ছবিতে বগটুইতে তদন্তরত সিবিআই অফিসাররা ।
হাঁসখালির তদন্ত
হাঁসখালিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে তার ছেলের ঘরে গিয়ে বিছানার চাদর ও রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে সিবিআই। সূত্র জানাচ্ছে, যেহেতু মেয়েটির দেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, তাই এখানে তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে অসুবিধা হচ্ছে। এই অবস্থায় বিছানার চাদর ও রক্তের নমুনা খুবই কাজে লাগবে বলে সিবিআই মনে করছে। উপরের ছবিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
কতদিন লাগবে?
সিবিআইয়ের হাতে প্রচুর মামলা রয়েছে। ফলে হাঁসখালির তদন্ত কবে শেষ হবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে সূত্র জানাচ্ছে, হাঁসখালি হলো ওপেন অ্যান্ড শাট কেস। ফলে খুব বেশিদিন লাগার কথা নয়। উপরের ছবিতে হাঁসখালি গ্রাম।
তপন কান্দু হত্যার তদন্ত
পুরুলিয়ায় কংগ্রেস পুরসভা সদস্য তপন কান্দু হত্যা নিয়েও সিবিআই তদন্ত করছে। এই মামলায় এক প্রত্যক্ষদর্শীকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখা গেছে। তার মোবাইল পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশ বৃহস্পতিবার তা উদ্ধার করেছে। কল-লিস্ট খতিয়ে দেখে বেশ কিছু সূত্র পাওয়ার ব্যাপারে তারা আশাবাদী। এই ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে চারজন পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করেছে রাজ্য সরকার।
এসএসসি দুর্নীতি
এই মামলায় চারজনকে জেরা করেছে সিবিআই। সবে তারা তদন্ত শুরু করেছে। এখনো পর্যন্ত এই মামলায় তারা খুব একটা এগোতে পারেনি বলে সূত্র জানাচ্ছে।
অনুব্রত মণ্ডল
সিবিআই গরুপাচার ও কয়লাকাণ্ড নিয়ে অনুব্রতকে জেরা করার জন্য ডেকেছিল। কিন্তু বীরভূমের তৃণমূল নেতা কলকাতা এসে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অনুব্রত চিকিৎসাধীন। সিবিআই তারপর আর এই বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।