আদিলুরের মুক্তি
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩হিউম্যান রাইটস কোয়ালিশন গ্রপের সদস্যরা বলেছেন, আদিলুর রহমান খান বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান মানবাধিকার নেতা৷ মানবাধিকার রক্ষায় তিনি কাজ করছেন৷ আর এ জন্য তিনি তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেন৷ তাই তাঁকে আটক রাখা দুঃখজনক৷ তাঁর মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার' বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কাজ করে৷ তাঁরা তাই তাঁর মুক্তিসহ তার নিরাপত্তা, জব্দ করা যন্ত্রপাতি ফেরত এবং তার আইনগত অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন৷
এর জবাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, আদিলুর রহমান খানের ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে৷ ‘অধিকার' শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে পুলিশের রাতের অভিযানে যে ৬১ জন নিহত হওয়ার তালিকা দিয়েছে, তার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি৷ ওই রাতের অভিযানে কেউ নিহত হয়নি৷ আগে এবং পরে মোট ১৩ জন নিহত হয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘অধিকার' জীবিত ব্যক্তিদের নাম নিহতদের তালিকায় দিয়েছে৷ আর এই তালিকা পুলিশ ‘অধিকার'-এর কম্পিউটার থেকেই পেয়েছে৷ তিনি জানান, আদিলুর রহমানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে৷ আদিলুর সরকার এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে দেশে এবং দেশের বাইরে এই অসত্য তালিকা পাঠিয়েছেন বলে জানান পুলিশের উপ কমিশনার৷
এদিকে বাংলাদেশের হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান ডয়চে ভেলেকে জানান, আদিলুরকে জামিনে মু্ক্তি দেয়া না দেয়া এখন আদালতের এক্তিয়ার৷ তাঁকে জামিনে মুক্তি দেয়ার জন্য উচ্চ আদালতে আবেদনও করা হয়েছে৷ তবে তিনি মনে করেন, তাঁকে বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যে রেখে মুক্তি দেয়া যেতে পারে৷
এলিনা খান বলেন, তবে অধিকারের উচিত নিহত ৬১ জনের তালিকা আদালতকে দেয়া৷ আদালত নিজে অথবা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সেই তালিকা তদন্ত করে দেখতে পারে৷ তাহলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে তাদের তালিকা সঠিক কিনা৷ তিনি জানান, ‘অধিকার'-এ কাজের স্বচ্ছতার জন্যই এটা করা উচিত৷ আর আদিলুরের বিরুদ্ধে যে মামলা, সেই মামলায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হলে তালিকার সত্যতা তাকেই নিশ্চিত করতে হবে৷ উল্লেখ্য, গত ১০ই আগস্ট আদিলুর রহমান খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷