1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আদালত চত্বর থেকেই অনুব্রতের হুমকি বিরোধীদের

৩১ অক্টোবর ২০২২

অনুব্রত মন্ডল এখন জেলে। তাতে কী হয়েছে? আদালত চত্বর থেকেই তিনি বিরোধীদের হুমকি দিলেন।

https://p.dw.com/p/4IsEv
ফাইল ছবি।
ফাইল ছবি। ছবি: Satyajit Shaw/DW

শনিবার আদালত চত্বর থেকেই সামনে এল সেই অনুব্রতের বচন। যখন তিনি জেলের বাইরে ছিলেন, তখন এই বচন নিয়মিত শোনা যেত। তিনি গুড়-বাতাসা দেয়ার কথা বলতেন। ঢাক যে চড়াম চড়াম করে বাজবে, সেটাও জানাতেন। এমনকি নকুলদানা দেয়ার কথাও জানাতেন। এ সবই ছিল সাদা কথার পিছনে হুমকি। সেই হুমকি তার বিরোধী শিবিরে ছড়িয়ে পড়তে খুব একটা দেরি হতো না।

এখন দেখা গেল, জেলে থাকার পরেও সেই হুমকি দিচ্ছেন তিনি। শনিবার আসানসোল জেল থেকে তাকে বিশেষ সিবিআই আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার সঙ্গে দেখা করেন তার ঘনিষ্ঠ নেতারা। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা জানাচ্ছে, অনুব্রতএজলাসে রাখা বেঞ্চিতে বসেন। পরণে নীল পাঞ্জাবি। দলের কর্মীরা এসে বিজয়ার প্রণাম করেন। কেউ কেউ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। কেউ তারাপীঠের প্রসাদী ফুল মাথায় ঠেকিয়ে হাতে তুলে দেন।  তখনই পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে হুমকিটা আগাম দিয়ে দেন অনুব্রত। জেলার প্রতিটি ব্লকের নাম ধরে ধরে অনুগামীদের কাছে ফিডব্যাক-ও নেন।

অনুগতদের কাছেই তিনি শোনেন, কিছু নেতা নিজের ইচ্ছেমতো চলছেন। গোষ্ঠীবাজি করছেন। শুনেই উত্তেজিত হয়ে তিনি বলেন, ''আমি সব খবর রাখছি। দলের মধ্যে গ্রুপবাজি বরদাস্ত করব না। মনে রেখো, আমি কিন্তু চিরকাল জেলে থাকব না। যারা দলের মধ্যে গ্রুপবাজি করছে, বেরিয়েই সব কটা'কে ছেঁটে দেব। পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে। এখন থেকেই ভোটের কাজে নেমে পড়ো। সবাই এক হয়ে কাজ করবে।''

বিধায়কদের নিজের নিজের বিধানসভায় কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। অন্যের বিধানসভায় নাক না গলানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলের সব পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু গরুপাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রতকে বীরভূম জেলা সভাপতির পদ থেকে সরাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অনুব্রতের সঙ্গে শনিবার বীরভূম জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায়, জেলা সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শেখ নাজিমউদ্দিন, তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা ত্রিদিব ভট্টাচার্য-সহ কয়েক জন নেতা-কর্মী দেখা করেন।

অনুব্রত কথাগুলো কি শুধু দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, নাকি, তার লক্ষ্য দল ও বিরোধী দলের নেতারা সকলেই? প্রবীণ সাংবাদিক আশিস গুপ্তের মতে, ''সব বিরোধীকেই হুমকি দিয়েছেন তিনি। দলের বিরোধী এবং বিরোধী দলের নেতা, সকলকেই। এভাবেই তো অনুব্রত রাজনীতি করে এসেছে। হুমকি ও ভয়ের রাজনীতি।''

কিন্তু এতদিন জেলে থাকার পর তার কি ক্ষমতা কমতে পারে? আশিসের মতে, ''এটা নির্ভর করে দলনেত্রীর উপর। প্রশাসন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পাশে না থাকলে কেউ এরকমভাবে ক্ষমতাশালী হতে পারে না।''

পার্থের চিৎকার

পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও এদিন  জেল থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। আদালতে যাওয়ার পথে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা কি সত্যি? পার্থ চিৎকার করে বলেন, ''চোপ।''

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)