আত্মঘাতী হামলা ‘হারাম’
১৭ জানুয়ারি ২০১৮‘‘একটি আধুনিক ইসলামি সমাজের স্থিতিশীলতার শক্ত ভিত্তি তৈরি করে দিচ্ছে এই ফতোয়া,’’ বইতে লিখেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেইন৷ ‘‘ইসলামের সোনালি নীতি অনুযায়ী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে একটি জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে এই ফতোয়া থেকে নির্দেশনা পাওয়া যেতে পারে,’’ বলে মনে করেন তিনি৷
সরকার পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি বইটি প্রকাশের দায়িত্বে ছিল৷ মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বইটি প্রকাশ করা হয়৷
দেশে ও দেশের বাইরে থাকা পাকিস্তান সরকার ও সামরিক বাহিনীর সমালোচকদের অভিযোগ, তারা রাজনৈতিক ও সামরিক উদ্দেশ্যে মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখে৷ মসজিদকে ব্যবহার করে ঘৃণা ছড়ানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকার অনেকদিন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেও সমালোচকদের অভিযোগ৷
পশ্চিমা বিশ্ব ও উদারনীতি ব্যবস্থার সমালোচক প্রখ্যাত কয়েকজন ধর্মীয় নেতা এই ফতোয়ায় স্বাক্ষর করেছেন৷ এছাড়া বিচ্ছিন্নতাবাদ ও আফগান তালিবানের সমর্থকরাও আছেন স্বাক্ষরদাতাদের তালিকায়৷
যেমন নিষিদ্ধ ঘোষিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত’ বা এএসডাব্লিউজে-র শীর্ষ নেতা মুহাম্মদ আহমেদ লুধিয়ানভি এই ফতোয়ায় স্বাক্ষর করেছেন৷ ‘সন্ত্রাসবাদের’ সঙ্গে সম্ভাব্য জড়িতদের তালিকায়ও তার নাম আছে৷
এছাড়া হামিদ-উল-হক নামক এক স্বাক্ষরদাতা আফগান তালিবানের জনক বলে পরিচিত এক নেতার ছেলে৷
মধ্যপ্রাচ্যে আত্মঘাতী হামলার বিরুদ্ধে আগে ফতোয়া দেয়া হয়েছে৷ তবে তা খুব বেশি কার্যকর হয়নি৷ কারণ, সেখানে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস-সহ অন্যান্য গোষ্ঠীগুলো প্রায়ই এ ধরনের হামলা করে থাকে৷
ইসলামের ব্রেলভি মতবাদে (তারা তালেবান বিরোধী) বিশ্বাসী কয়েকজন ধর্মীয় নেতা এর আগে আত্মঘাতী হামলার বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছিলেন৷ তবে পাকিস্তানে এবার যে ফতোয়া দেয়া হলো তাতে দেশটির প্রায় সব গোষ্ঠীর নেতারা স্বাক্ষর করেছেন৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)
২০১৬ সালের আগস্টের এই ছবিঘরটি দেখুন...