আতশবাজি নিষিদ্ধ করে কি দূষণ ঠেকানো গেছে?
দিওয়ালি শেষ, কিন্তু পরিবেশ দূষণ কি শেষ হয়েছে? হিন্দুদের এই ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে আতশবাজি বিক্রি নিষিদ্ধ করেছিল নতুন দিল্লি৷ বলা হয়েছিল, পরিবেশের উপকার হবে৷ কিন্তু নিষেধাজ্ঞায় কাজ কতটা হয়েছে?
দিওয়ালি: আলোর উৎসব
দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসরত হিন্দু, শিখ এবং জৈন সম্প্রদায়ের মানুষরাই মূলত দিওয়ালি পালন করেন৷ এই উৎসবে আতশবাজি পোড়ানো, মোম জ্বালানো এবং ঘরবাড়ি পরিষ্কারের মতো কিছু আনুষ্ঠানিকতা করা হয়৷ তবে এবছর পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল৷ বাতাসে টক্সিকের মাত্রা কমাতে আতশবাজি বিক্রি নিষিদ্ধ করে নতুন দিল্লি কর্তৃপক্ষ৷
তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পোড়ানো হয় আতশবাজি
গত নয় অক্টোবর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আতশবাজি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন৷ আদালত চাননি যে, আগের বছরের মতো দেওয়ালির সময় বিষাক্ত ধোঁয়া আর মেঘে ঢেকে যায় পুরো শহর৷ কিন্তু এক জায়গায় সমস্যা থেকে গিয়েছিল৷ আতশবাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করেননি আদালত৷ ফলে অনেকেই নানাভাবে সংগ্রহ করে পোড়ায় সেগুলো৷
বিষাক্ত কুয়াশা: দিওয়ালির পরের সকাল
দিওয়ালি উৎসব শেষ হওয়ার পর নতুন দিল্লির বাতাসে দুই দশমিক পাঁচ মাইক্রোমিটার আকারের বিষাক্ত পার্টিকেলের হার অনেক বেড়ে যায়৷ এই পার্টিকেল ফুসফুস, এমনকি ব্লাডস্ট্রিম অবধি পৌঁছে যেতে পারে৷ ২০১৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হয়েছিল নতুন দিল্লি৷
‘শ্বাস-প্রশ্বাসে নাইট্রেট এবং অ্যামোনিয়া’
বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় পরিবেশ কর্মীরা জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবি জানান৷ সমালোচকরা বলছেন, আতশবাজি বিক্রির উপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, তা ঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেনি পুলিশ৷
আগের বারের মতো নয়
তবে ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বলছে, এ বছর দিওয়ালির পর বায়ূ দূষণের মাত্রা গতবারের পর্যায়ে পৌঁছায়নি, কেননা, গতবছর শুধু আতশবাজি নয়, খরকুটো পোড়ানোর কারণেও বায়ু দূষণ ঘটে৷ এ বছরটা তাই আগের বছরের তুলনায় ভালো বলে মনে করছেন সেখানকার বিজ্ঞানীরা৷