আজ বাঙালির নববর্ষ
১৪ এপ্রিল ২০১০বাঙালির আত্মশক্তির নববর্ষ
নতুন বছরের প্রথম সূর্যের সোনা রোদ ছড়িয়ে প’ড়ে সবখানে ছড়িয়ে যায় সুর৷ এক অনাবিল ভাল লাগায় ভরে ওঠে বটমূলের প্রাঙ্গন৷ বাঙালির নতুন বছর বাংলা নববর্ষ ১৪১৭ সালের যাত্রা শুরু হল৷
স্নিগ্ধ সকালে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বটমূলে মানুষের ঢল নামে সূর্য ওঠার আগে থেকেই ৷ সব বয়সের মানুষ হাতে হাত ধরে আসেন৷ আসে শিশুরা৷ বটমূলের এই বর্ষবরণ হয়ে ওঠে হাজারো বাঙালির মিলন মেলা৷ তারা বলেন, চিরায়ত ঐতিহ্যের এই বর্ষবরণে আত্মশক্তি পায় বাঙালি জাতি৷ নিজের শক্তিকে নতুন করে আবিষ্কার করে৷ বুঝতে পারে বাঙালি এক পরাভব না মানা জাতি৷
কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এবারের বর্ষবরণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা চোখে পড়ার মত৷ সবাইকে নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে থেকে পায়ে হেঁটে বটমূলে ঢুকতে হয়৷ আর এই নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া৷ কিন্তু ব়্যাব মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ খন্দকার এবং ডিএমপি কমিশনার শহীদুল ইসলাম নিরপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন৷
জাতীয় রূপে বর্ষবরণ
ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল জানান, বর্ষবরণে এলে মনে হয় আমরা বাঙালীিছিলাম, আছি , থাকব৷ ১৯৬৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুধুমাত্র ১৯৭১'এর মুক্তিযুদ্ধের সময় একবছর বাদ যায়৷ ছায়ানটের সারোয়ার আলী জানান, রমনা বটমূলের বর্ষবরণ এখন জাতীয় রূপ পেয়েছে৷ রমনা বটমূলে পান্তা ইলিশের আয়োজেনেও বেজায় ভীড়৷ বর্ষবরণের আরেক বড় আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা ৷ চারুকলা থেকে বের হওয়া এই শোভাযাত্রায় হাজারো মানুষ অশুভের বিনাশ কামনা করেন৷
বাংলা নববর্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷ পত্রিকাগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে৷ টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলগুলো প্রচার করছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা৷ আর এই শুভ দিনে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ এফ এম তরঙ্গে অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু করেছে৷
প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা, সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম