আগুনে শুদ্ধ ঘোড়া
করোনার জন্য দুই বছর বন্ধ থাকার পর অনুষ্ঠিত হলো লাস লুমিনারিয়াস উৎসব৷ সেইন্ট অ্যান্থনি দিবসে আগুনের মধ্য দিয়ে ঘোড়া নিয়ে ছুটে চলেন সওয়াররা৷ স্পেনের পশুদের পৃষ্ঠপোষক সন্তু বলে মনে করা হয় সেইন্ট অ্যান্থনিকে৷
শত বর্ষের ঐতিহ্য
প্রতি জানুয়ারিতে স্পেনের পাহাড়ি গ্রাম সান বার্তোলোমে দে পিনারেস-এ লাস লুমিনারিয়াস উৎসব আয়োজন হয়৷ উৎসবের সময় কখনো রাস্তা, কখনো আগুনের মধ্য দিয়ে ছোটেন ঘোড়সওয়াররা৷ তারা মনে করেন, ধোঁয়া ঘোড়াদের রোগ থেকে রক্ষা করে৷
আনন্দ ও ফুর্তির উৎসব
উৎসবটা ঘোড়াদের সুস্থতার জন্য আয়োজন করা বলে ঘোড় সওয়াররা বা ঘোড়াপ্রেমীরা যে আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন, এমনটা একেবারেই নয়৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক ঘোড় সওয়ার বিয়ারের মগ হাতে উল্লাস করছেন৷
পাইন গাছের আগুন
পাইন গাছের শুকনো ডাল দিয়ে আগুন তৈরি করা হয়৷ উৎসবের কয়েকদিন আগে থেকে এসব ডাল গ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে জড়ো করে রাখেন আয়জকেরা৷ আগুনের মধ্য দিয়ে যাওয়ার আগে পুরোহিত ঘোড়াকে আশীর্বাদ করে দেন৷
পশুপ্রেমীদের প্রতিবাদ
অনেক বছর ধরেই এমন আয়োজনকে ঘোড়ার জন্য ক্ষতিকারক দাবি করে তা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছেন প্রাণী অধিকার কর্মীরা৷ তবে আয়োজকদের দাবি, আগুনের মধ্য দিয়ে ছুটে চলার আগে ঘোড়ার চুল ও লোম ছোট করে কেটে ফেলেন সওয়ার৷ ফলে ঘোড়ার কোনো ক্ষতি হয় না বলে দাবি তাদের৷
বিতর্ক
তারপরও অবশ্য বিতর্ক থামছে না৷ আগে গ্রাম থেকে হাতে সংগ্রহ করা পাইনের ডাল দিয়ে ছোট আকারের আগুন তৈরি করা হতো৷ এখন দিনদিন আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই আয়োজন৷ গ্রামের বাইরে থেকে তো বটেই, স্পেনের বাইরে থেকেও অনেকে আসছেন এই আয়োজন দেখতে৷ ফলে তাদের দেখানোর জন্য পাইনের ডাল আনা হচ্ছে দূরদূরান্ত থেকে, ট্রাকে করে৷