একজন সৎ মানুষের কথা
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬বলছি মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরীর কথা৷ সাপ্তাহিক পত্রিকা তাঁকে আখ্যা দিয়েছে ‘সাহস আর সততা'-র প্রতীক হিসেবে৷ সরকারি এই কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সচিব৷
ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে দুর্নীতির কারণ নিয়ে বিভিন্ন কথা৷ এই কর্মকর্তা মনে করেন, একসময় সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ভয় ছিল, জবাবদিহিতা ছিল৷ এখনও তা থাকলেও মানুষের মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে, যা তাদের দুর্নীতির দিকে আকৃষ্ট করছে৷
বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির সর্বশেষ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান রয়েছে চোদ্দনম্বরে৷ দুর্নীতি দেশটির প্রায় সর্বত্র, এমন দাবি গণমাধ্যমের৷ এরকম এক পরিবেশে কিভাবে সততার প্রতীক হয়ে উঠছেন চৌধুরী? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত লোভ, লালসাকে দমন করে চলা৷ এটা এক বড় নৈতিক শক্তি৷ আমি কোনোভাবেই প্রলোভনে পা দেবো না৷''
নিজের জীবনকে কম ভোগ করে দেশ ও জাতিকে সেবা দেয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছেন চৌধুরী৷ তাঁর মতে, বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের যে বেতন কাঠামো, তা দিয়ে দুর্নীতি না করে, ঘুস না খেয়েও স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব৷ এ জন্য প্রয়োজন মোহ থেকে দূরে থাকা৷ বিলাসিতা, প্রাচুর্য্য, অপচয়ের সুযোগ নেই এই বেতনে, মনে করেন তিনি৷
বাংলাদেশে দুর্নীতি কমাতে সচেতনতা সৃষ্টির দিকেও গুরুত্ব দিতে চান এই সরকারি কর্মকর্তা৷ তিনি জানান, আইন প্রয়োগ করে বা আইনকে চাপিয়ে দিয়ে দুর্নীতি দমন করা যাবে না৷ ‘‘ব্যক্তি ইচ্ছা, ব্যক্তি আচরণ, পারিবারিক মূল্যবোধ এবং সবচেয়ে হলো নিজের ভেতরের আত্মসুদ্ধি, সেটা যখন আমরা আনতে পারবো, দুর্নীতি কমে যাবে'', বলেন তিনি৷
মুনীর চৌধুরীর কাছে আপনি কি কিছু জানতে চান? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷