আইওসি’র কাছে প্রতিবাদ
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ক্রীড়াজগত থেকে রাজনীতিকে দূরে রাখাই শ্রেয় বলে অনেকেই মনে করেন৷ তা না হলে তা ক্রীড়াজগতের সাফল্যের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়৷ তবে ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক প্রতিযোগিতার উপর রাজনীতির যে ছায়া পড়েছে, তার চরিত্র অবশ্য কিছুটা আলাদা৷ সমস্যা গেমস'এর অন্যতম স্পনসর ডাউ কেমিক্যালস সংস্থাকে নিয়ে৷ প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ ডলার দিচ্ছে এই সংস্থা৷ এই কোম্পানিই ২০০১ সালে ‘ইউনিয়ন কার্বাইড' সংস্থা অধিগ্রহণ করেছিল৷ ১৯৮৪ সালে ভারতের ভোপাল শহরে সালে ‘ইউনিয়ন কার্বাইড' কারখানায় মারাত্মক রাসায়নিক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৩,০০০ মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল৷ আজও সেই দুর্ঘটনার রেশ কেটে যায় নি৷ ক্ষতিপূরণের বিষয়টিরও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি ঘটে নি৷ যারা আজও জীবিত রয়েছেন, তাদের দাবি ভারত এবারের অলিম্পিক বর্জন করুক৷ এই অবস্থায় ভারত সরকার লন্ডন অলিম্পিক প্রতিযোগিতার আয়োজকদের উপর চাপ সৃষ্টি করে চলেছে৷
এর আগে ভারতের জাতীয় অলিম্পিক কমিটিও একই দাবি জানিয়ে আসছিল৷ আইওসি'র প্রধান জাক রগে'র মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারতের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে বেশ কড়া ভাষায় লেখা একটি চিঠি জমা পড়েছে৷ এত প্রতিবাদ সত্ত্বেও আইওসি নিজস্ব উদ্যোগে ডাউ কেমিক্যালস'কে লন্ডন অলিম্পিক থেকে দূরে না রাখায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে ভারত সরকার৷ দেরিতে হলেও বৃহত্তর স্বার্থে এবার সেই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে চিঠিতে দাবি করা হয়েছে৷
এই বিতর্কের জের ধরে শেষ পর্যন্ত লন্ডন অলিম্পিক্স কি অচলাবস্থার মুখোমুখি হবে? প্রতিবাদের ঝড় তুললেও ভারত অলিম্পিক বর্জন করতে এখনো প্রস্তুত নয়৷ আইওসি'ও মনে করিয়ে দিচ্ছে, যে ডাউ কেমিক্যালস প্রায় গত তিন দশক ধরে অলিম্পিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত৷ তাছাড়া এই সংস্থা সরাসরি ভোপাল দুর্ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল না৷ এই ডাউ কেমিক্যালস খোদ ভারতেও বেশ সক্রিয়৷ ফলে শুধু লন্ডন অলিম্পিকে এই সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা মোটেই নৈতিক নয় বলে মনে করছেন অনেকে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক