‘আইএস মানবজাতির শত্রু'
১৮ আগস্ট ২০১৬জঙ্গিবাদের সাথে ইসলামের সম্পৃক্ততা নিয়ে পাঠক ইবনে ইব্রাহিম ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘ ইসলাম মানবতার কথা বলে অথচ ইসলাম নিয়ে পৃথিবী জুড়ে গভীর চক্রান্ত চলছে৷ ইসলাম যেই দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে তাতে ভীত হয়ে একটি কুচক্রি মহল মুসলিমদের জংগিবাদের মতো সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অনুপ্রাণিত করছে৷ এরা হাদিস কুরআনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মুসলিম যুবকদের সন্ত্রাসে ঢুকিয়ে দিচ্ছে, যাতে করে ইসলামের নামে চলা এই সন্ত্রাস দেখে সাধারণ মানুষ ইসলামকে ঘৃণা করে৷''
পাঠক ইব্রাহিমের মতে, ‘‘যখন কেউ ইসলাম সম্পর্কে ভালোভাবে জানছে, তখন তারা মুগ্ধ হয়ে দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করছে৷ তারা খুঁজে পাচ্ছে শান্তি৷ কতিপয় মুর্খ মুসলিমকে সন্ত্রাসে লেলিয়ে দিয়ে ইসলামের অগ্রযাত্রা থামিয়ে রাখা যাবেনা৷''
‘‘আইএস সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় দেয়া যাবে না, এরা মানবজাতির শত্রু৷'' এই মন্তব্য ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু সৌরভ তারেকের৷ তাঁর মতে, ‘‘এ ব্যাপারে শুধু পুলিশদের দোষ দিলে হবে না৷ পুলিশদের বিচারের আওতায় আনা উচিৎ এবং রাজনীতিতে শীর্ষ পর্যায় থেকে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য পুলিশদের নিয়োগ দেয়, তাদেরও বিচার হওয়া উচিৎ৷''
আর তবে ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু সালেকের ধারণা, ‘‘সংগঠন হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী আজ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে৷ দুই চারজন সৎ লোক হয়ত আছে এই বাহিনীতে!'' তবে খুবই আশাবাদী ঢাকার বন্ধু সালেক৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘তারপরও আমি হতাশ না, কারণ, হাসিনা, খালেদা, এরশাদ এদের মতো অযোগ্য লোক আল্লাহ্ চিরদিন রাখেন না৷ আল্লাহ্ যদি ভালো নেতা দেন আর সেই নেতাকে জনগণ চিনে নিয়ে ভোট দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্ব দেয়, তখন পুলিশ ও আদালতের একটি ঘোষণা ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সম্পূর্ণ বদলে যাবে৷''
তবে পাঠক মাসুম নিশ্চত যে, ‘‘জঙ্গি দমনে যতদিন না পর্যন্ত পুলিশকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না হবে, ততদিন পর্যন্ত অবস্থার অবনতি বৈ উন্নতি হবে না৷'' তবে তিনি মনে করেন, ‘‘পুলিশ যেহেতু সরাসরি পাবলিক রিলেটেড, তাই এই বাহিনীকে সদা সর্বদা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত না করতে পারলে এরা দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না৷''
আর পাঠক সামসুল হক মনে করেন, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঘুস ছাড়া মেধা যাচাই করে কর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা করলে জঙ্গিবাদ দমন করা সম্ভব৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী