1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইএস-দমন অভিযান!

গ্রেহেম লুকাস/এসবি৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর ড্রোন হামলায় তিনজন ব্রিটিশ জিহাদি জঙ্গির মৃত্যুর খবর লন্ডনে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করেছে৷ গ্রেহেম লুকাস মনে করেন, এক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের সঙ্গে প্রচলিত আইনের বড় রকমের সংঘাত দেখা দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1GTiM
NATO Luftpatrouille Baltikum F-22 Raptor
ছবি: Reuters/W. Rattay

প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছেন যে, তাঁর সরকারের কাছে ইসলামি জঙ্গিদের এক তালিকা রয়েছে, যাদের উপর হামলার পরিকল্পনা রয়েছে৷ তালিকায় সেই সব চরমপন্থিদের নাম রয়েছে, যারা শয়ে শয়ে ব্রিটেন ছেড়ে সিরিয়া ও ইরাকে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এ যোগ দিতে গেছে৷ তাদের একজনের নাম ‘জিহাদি জন'৷ ব্রিটেনের নাগরিক এই জঙ্গি প্রকাশ্যে আইএস-এর হাতে বন্দিদের শিরশ্ছেদ করেছে এবং নৃশংস ও ক্ষমার অযোগ্য সেই অপরাধের ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছে৷

Lucas Grahame Kommentarbild App
ডিডাব্লিউ-র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিভাগের প্রধান গ্রেহেম লুকাস

এখন প্রশ্ন হলো, এর কোনো বিকল্প রয়েছে কি? কোনো প্রধানমন্ত্রী কি নিরাপত্তা সংস্থাগুলির প্রধানদের পরামর্শ উপেক্ষা করতে পারেন? তিনি কি নিজের দেশে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি নিতে পারেন? উত্তরটা অবশ্যই ‘না'৷ আমরা সবাই জানি, আইএস কী ভয়ংকর হতে পারে৷ আমরা জানি, তারা আমাদের ধ্বংস করে দিতে চায়৷ কোনো নেতার পক্ষে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত কঠিন৷ এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ সম্ভাব্য হুমকির মুখে এমন হামলা আইনত সম্পূর্ণ বৈধ – এটাই সরকারের অবস্থান৷

অন্যদিকে আইএস-এর নৃশংসতা ও বিকৃতি আমাদের বিচারবুদ্ধির উপর কালো ছায়া ফেলুক এবং আমরাও ভাবনাচিন্তা না করেই প্রতিক্রিয়া দেখাই – এমনটাও কাম্য হতে পারে না৷ ব্রিটেনের বিরোধী লেবার পার্টি সরকারের আচরণ ও আইনি পরিস্থিতি সম্পর্কে যে স্পষ্টতা দাবি করেছে, তা সম্পূর্ণ ঠিক৷ একমাত্র ক্ষমতাকেন্দ্রে হাতে গোনা কিছু মানুষের হাতে থাকা গোপন প্রমাণের ভিত্তিতে যদি দিনের পর দিন এভাবে আকাশ থেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়, সেক্ষেত্রে অত্যন্ত বিপজ্জনক এক প্রবণতা সৃষ্টি হবে৷ তখন ‘বিগ ব্রাদার'-এর খবরদারির ধারণা আরও বাস্তব হয়ে পড়বে৷

তথাকথিত জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিবেচনার আড়ালে না থেকে ব্রিটেনের সরকারের উচিত সেই সব তথ্য প্রকাশ্যে আনা, যার ভিত্তিতে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ অনেক সংসদীয় কমিটি গোপনীয়তার বেড়াজালের মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় চর্চা করে৷ অন্তত সেই সব সংসদ সদস্যদের এমন সিদ্ধান্ত আগেভাগেই পরীক্ষা করার ক্ষমতা থাকা উচিত৷ একমাত্র এভাবেই মানুষ নিশ্চিত হতে পারে, যে সরকার নাগরিক অধিকার খর্ব করছে না৷ ইসলামিক স্টেট-এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ক্ষতি করুক – সেটা আমরা হতে দিতে পারি না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান