আইএস ধ্বংসে ওবামার চার উপায়
৭ ডিসেম্বর ২০১৫রবিবার রাতের প্রাইম টাইমে ওভাল অফিস থেকে দেয়া এক বক্তৃতায় মার্কিনিদের এই অঙ্গীকারের কথা জানান ওবামা৷ এ নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার ওভাল অফিস থেকে বক্তব্য রাখলেন তিনি৷ বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ায় এক দম্পতির গুলিতে ১৪ জন নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন৷ আইএস সরাসরি ঐ হামলার দায়িত্ব স্বীকার না করলেও ঐ দম্পতিকে (যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া সৈয়দ ফারুক ও তাঁর পাকিস্তানি স্ত্রী তাশফিন মালিক) নিজেদের ঘোষিত খেলাফত রাষ্ট্রের ‘সেনা' হিসেবে আখ্যায়িত করেছে৷
ওবামা তাঁর বক্তব্য বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের হুমকি বাস্তব, কিন্তু আমরা তা মোকাবিলা করব৷ আমরা ‘আইসিল' (এই নামেও পরিচিত আইএস) সহ অন্য যে কোনো সংগঠন যারা আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে তাদের ধ্বংস করবো৷''
এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ওবামা সুনির্দিষ্টভাবে চারটি উপায়ের কথা জানান৷ এর মধ্যে সামরিক পদক্ষেপ যেমন রয়েছে তেমনি আছে অ্যামেরিকার মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতা ও প্রযুক্তি সমাজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করা৷
তবে লক্ষ্য পূরণ করতে গিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ করতে সৈন্য পাঠানোর বিরোধী তিনি৷ বরং ইরাক ও সিরিয়ার সেনাদের প্রশিক্ষণ দিতে চান ওবামা৷
একই ধরণের মন্তব্য করেছেন ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টোলটেনব্যার্গ৷ সুইস এক পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়তে সিরিয়ায় সৈন্য পাঠানোর চেয়ে স্থানীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দেয়া প্রয়োজন৷
ওবামার বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
এদিকে, ইরাকে আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়তে ইরাক সরকারের পাশে থাকার কথা জানাতে সোমবার ইরাক গেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)