1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কী করবে বাংলাদেশ?

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪

বাংলাদেশকে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বিরোধী আন্তর্জাতিক জোটে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ এই জোটের উদ্যোক্তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ এদিকে বাংলাদেশের জঙ্গিদের আইএস ‘কানেকশন'-এর কথা বলছেন গোয়েন্দারা৷

https://p.dw.com/p/1DL6v
Symbolbild Algerien Geiselnahme Islamischer Staat Franzose
ছবি: AFP/Getty Images

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইসলামিক স্টেট (আইএস বা আইসিস) বিরোধী অভিযানে অংশ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পাঁচটি আরব রাষ্ট্রসহ ৫৪টি দেশ৷ এই জোটে অংশগ্রহণের জন্য নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশকেও৷ তবে বাংলাদেশ তার জঙ্গিবিরোধী অবস্থান পরিষ্কার করলেও বৈঠকে অংশ নেয়নি৷

আইএস-কে মোকাবিলায় বহুজাতিক জোট গঠনের পরিকল্পনার রূপরেখা দুই সপ্তাহ আগে ঘোষণা করেছেন বারাক ওবামা৷ জাতিসংঘ অধিবেশনে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনও আইএস নিয়ে তাঁর উত্‍কণ্ঠা প্রকাশ করেছেন৷

বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর সর্বসম্মতিতে ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল এলাকা দখল করে নেওয়া জঙ্গি দল ইসলামিক স্টেটে বিদেশি যোদ্ধাদের যোগদান নিষিদ্ধ করে শর্ত সাপেক্ষে একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ৷

UN Vollversammlung 24.09.2014 - Barack Obama
আইএস-কে মোকাবিলায় বহুজাতিক জোট গঠনের পরিকল্পনার রূপরেখা আগেই ঘোষণা করেছেন বারাক ওবামাছবি: Getty Images/A. Burton

এদিকে বাংলাদেশের জঙ্গিদের আইএস সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাচ্ছেন এখানকার গোয়েন্দারা৷ বুধবার ঢাকা থেকে জঙ্গি তত্‍পরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. আসিফ আদনান ও মো. ফজলে এলাহী তানজিল নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন যে, তারা জঙ্গি সংগঠন আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য এবং আইএস-এ যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করছিল৷ এদের মধ্যে আদনান সুপ্রিম কোর্টের সাবেক এক বিচারপতির ছেলে এবং তানজিলের মা যুগ্ম সচিব৷ মনিরুল ইসলাম জানান, ‘‘তারা ‘জিহাদে' অংশ নিতে তুরস্ক ও সিরিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল৷''

এর আগে গোয়েন্দারা গত ১৯শে সেপ্টেম্বর নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র ভারপ্রাপ্ত আমির আব্দুল্লাহ আল-তাসনিম ওরফে নাহিদসহ সাতজনকে আটক করেন৷ তারাও আইএস-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন বলে গ্রেপ্তারের পর ডয়চে ভেলেকে জানান যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম৷ বৃহস্পতিবার তিনি জানান, ‘‘বাংলাদেশের জঙ্গিরা এখন আইএস-এর জঙ্গি তত্‍পরতার উদ্বুদ্ধ হয়ে তাদের দিকে ঝুঁকছে৷''

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রশিদ (অব.) ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘এই সময়ে আইএস-এর তত্‍পরতা সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান৷ বিশেষ করে ইরাক এবং সিরিয়ার ঘটনা বাংলাদেশের জঙ্গিদের ওপর প্রভাব ফেলছে এটা স্বাভাবিক৷ তাই বাংলাদেশকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে৷''

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকারের জঙ্গিবিরোধী অবস্থান স্পষ্ট৷ তবে কোনো জোটে যোগ দেয়ার আগে দু'বার ভাবতে হবে৷''

তাঁর মতে, ‘‘আইএস বিরোধী জোটে বাংলাদেশ যোগ দিলে জঙ্গিদের টার্গেটে পরিণত হতে পারে বাংলাদেশ৷ আর বারাক ওবামা আইএস বিরোধী যে জোটের কথা বলছেন, সেখানে তাঁর লক্ষ্য স্পষ্ট নয়৷ তাই অস্পষ্ট কোনো বিষয়ের সঙ্গে সরাসরি জড়িত না হওয়ায়ার বাংলাদেশের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত সঠিক৷''

তিনি বলেন, ‘‘সিরিয়ায় আইএস বিরোধী অভিযানে রাশিয়া এবং ভারতের নীতি ও অবস্থান পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ৷ বাংলাদেশে এই দুই দেশের নীতিকে অনুসরণ করবে বলেই মনে হয়৷''
তবে তিনি এও মনে করেন, ‘‘বারাক ওবামা তাঁর অবস্থান যত দ্রুত স্পষ্ট করবেন তত দ্রুত আরো অনেক দেশ আইএস বিরোধী জোটে অংশ নেবে৷ আর বাংলাদেশকে তার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং জঙ্গি দমনে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এবং তথ্য ব্যবহার করতে হবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান