অ্যামেরিকার মুসলমানদের নিয়ে ছবি ‘মোজ-লেম'
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০মোজ-লেম ছবিটি তৈরি করা হয়েছে মিশিগানে৷ পরিচালক কাসিম বাশির জানান, ‘‘অ্যামেরিকার মুসলমানরা প্রতিদিন কোন ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে – তাই তুলে ধরতে চেয়েছি আমি৷ ঠিক কোন ধরণের বৈষম্যের শিকার হচ্ছে মুসলমানরা সে কথাই আমি বলতে চেয়েছি৷ আমার নিজের বেশ কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতাও আমি যোগ করেছি৷''
অ্যামেরিকার মধ্যে মিচিগানেই মুসলমানদের সংখ্যা সর্বাধিক৷ নিউ ইয়র্কের ‘আরবান ফিল্ম ফেস্টিভালে' ছবিটির প্রিমিয়ার শোতে উপস্থিত হয়েছিলেন কয়েক'শো মুসলমান৷
পরিচালক বাশির আরো বলেন, মুসলমানদের সমস্যা নিয়েই কখনো এ ধরণের ছবি নির্মিত হয়নি৷ মূলতঃ সেখান থেকেই আমি প্রেরণা পেয়েছি৷ আমি এমন একটি ছবি তৈরি করেছি যেখানে প্রতিটি মুসলমানের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে৷
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাশির বলেন, ‘‘ছবি দেখার পর প্রতিটি মুসলমানই যেন বলতে পারে, ‘এখানে আমার কথা বলা হয়েছে, এই তো এ ধরণের ঘটনার সম্মুখীন আমি অনেকবার হয়েছি৷'''
ছবিটি কোথায়, কবে মুক্তি পাবে তা এখনো ঠিক না হলেও ইতিমধ্যেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে৷ নিউ ইয়র্কে একটি ‘মুসলিম সংস্কৃতিক কেন্দ্র' গড়ে তোলা তা নিয়েও সূত্রপাত হয়েছে উত্তপ্ত আলোচনার৷
ধ্বংস হয়ে যাওয়া টুইন টাওয়ারের দুটি ব্লক পরেই তৈরি হতে যাচ্ছে এই সংস্কৃতিক কেন্দ্র যেখানে নামাজ পড়ার জন্য একটি ঘরও তৈরি করা হবে৷ সমালোচকদের মতে, ঠিক এখানে মুসলমানদের জন্য কোন ধরণের কেন্দ্র গড়ে তোলার আগে আরেকবার চিন্তা-ভাবনা করা উচিত৷
মোজ-লেম ছবির মূল কাহিনী
মোজ-লেম ছবিতে কী দেখানো হচ্ছে ? ছবির মূল কাহিনীতে রয়েছে কলেজের ছাত্র তারিকের কথা৷ সময়টি ২০০১ সাল৷ মুসলমান বংশোদ্ভূত তারিককে নিজের ধর্ম আর ক্যাম্পাসের খোলামেলা পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হচ্ছে৷ এরপর আসে ১১ই সেপ্টেম্বর ২০০১৷ এ ঘটনা পাল্টে দেয় তারিকের পরিবারের জীবনযাত্রা৷
তারিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইভান রস৷ তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, যে কোন পরিবারের মতোই তারিকের পরিবার৷ কোন কিছু না শুনে, না জেনেই এই পরিবারকে একঘরে করা হয়৷ সবাই এড়িয়ে চলে তাদের৷ আর এভাবেই জন্ম দেয় ঘৃণা এবং ক্রোধের৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরি