অ্যামেরিকার বাইরে পা রাখলো বোয়িং-এর ড্রিমলাইনার
১৮ জুলাই ২০১০বোয়িং বলছে, বিমানটি তৈরিতে প্রথমবারের মত ব্যবহৃত হচ্ছে হালকা কম্পোজিট উপাদান৷ ফলে প্রায় ২০ শতাংশ জ্বালানির সাশ্রয় হবে বলে দাবি বোয়িং-এর৷ অর্থাৎ বলা যায়, বিশ্বের প্রথম পরিবেশ বান্ধব বিমান হলো এই ড্রিমলাইনার৷
প্রথমে কথা ছিল, ২০০৮ সালের শুরুতে প্রথম ক্রেতার হাতে বিমানটি তুলে দেয়া হবে৷ কিন্তু নানা কারণে সেটা সম্ভব হয়নি৷ এরপর তারিখ নির্ধারণ হয় এ বছরের শেষে৷ কিন্তু এবারও বোয়িং বলছে, হয়তো এ সময়ের মধ্যে বিমান হস্তান্তর করা সম্ভব নাও হতে পারে৷ তাই তারা ইতিমধ্যে নতুন তারিখ ঠিক করে ফেলেছে, এবং সেটা হলো আগামী বছরের প্রথম দিকে৷ জাপানের অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ হলো ড্রিমলাইনারের প্রথম ক্রেতা৷ এ পর্যন্ত ৮৬০টি ড্রিমলাইনার তৈরির অর্ডার পেয়েছে বোয়িং৷ ২১০ থেকে সর্বোচ্চ ৩৩০ জন যাত্রী ধারণ করতে পারবে দূর পাল্লার এই বিমানটি৷
এদিকে মার্কিন কোম্পানি বোয়িং-এর ইউরোপীয় প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাস তাদের নতুন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে৷ এই প্রকল্পের আওতায় ‘এ৩৫০ এক্সডব্লিউবি' নামের দূর পাল্লার একটি বিমান তৈরির চেষ্টা করছে এয়ারবাস৷ উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী বিমান তৈরির কৃতিত্ব আছে এই এয়ারবাস কোম্পানির৷ দুই তলা বিশিষ্ট এ৩৮০ নামের বিমানটি সর্বোচ্চ ৮৫৩ জন যাত্রী বহন করতে পারে৷
বোয়িং আর এয়ারবাস – দু'টি কোম্পানিই অংশ নিচ্ছে লন্ডনের ঐ বিমান শো'তে৷ সপ্তাহব্যাপী এই মেলা আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন