অ্যামনেস্টির আর্জি খারিজ
১৪ জুলাই ২০২০বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মীদের ওপর নজরদারি ও তথ্যপাচার করার একাধিক অভিযোগ উঠেছে প্রযুক্তিসংস্থা এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে৷ একই অভিযোগ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতেও হোয়াটসাপের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়৷ মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও একই অভিযোগে তেল আবিবের একটি আদালতে এনএসও গ্রুপের রপ্তানি লাইসেন্স বাতিল করবার আর্জি জানায়৷
এর কারণ, এনএসও গ্রুপের পেগাসাস নামের প্রযুক্তিটি, যার সাহায্যে ব্যবহারকারীর অজান্তেই মোবাইল ফোনের ক্যামেরাও মাইক্রোফোন চালু করে ফোন-ব্যবহারকারীর তথ্য নিতে পারে৷ এর ফলে হাতের মুঠোয় থাকা ফোন সহজেই হয়ে ওঠে নজরদারি পণ্য৷
কিন্তু সোমবার মামলার শুনানিতে এই আর্জি খারিজ করে দেন বিচারক রেচেল বারকাই৷ তিনি জানান, কোনো মানবাধিকার কর্মীর ফোন ব্যবহার করে তার ওপর নজরদারি চালানোর প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-পরিচালক ডানা ইংলেটন এই ঘোষণাকে লজ্জাজনক আখ্যা দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এই শুনানি বিশ্বজুড়ে মানুষকে বিপদের ঝুঁকিতে ফেলবে৷ এই পণ্য এনএসও গ্রুপ সারা বিশ্বের মানবাধিকারবিরোধী শক্তিদের কাছে বিক্রি করতে পারবে৷’’
‘সৌদি আরব থেকে মেক্সিকো’ সব দেশের মানবাধিকারবিরোধীদের শক্তি বাড়াবে এই পণ্য, বলছেন তারা৷
বহু দিন ধরেই সক্রিয় এনএসও গ্রুপ
গত মাসেই অ্যামনেস্টি দাবি করে, মরক্কোর সাংবাদিক ওমার রাডির বিরুদ্ধে এনএসও'র এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছিল৷ কিন্তু এনএসও গ্রুপের পক্ষে এ বিষয়ে কোনো মতামত পাওয়া যায়নি৷ বরং তাদের ব্যবসা এমন অভিযোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানায় তারা৷
২০১৬ সাল থেকেই খবরের শিরোনামে উঠে আসছে এনএসও গ্রুপ৷ আরব আমিরাতের সরকারকে নজরদারি চালানোয় এই সংস্থা সাহায্য করেছিল বলে দাবি অ্যামনেস্টির৷ ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থায় বর্তমানে নিযুক্ত প্রায় ৬০০ জন৷ বিশ্বের বেশ কিছু জায়গায় রয়েছে তাদের কার্যালয়৷
এসএস/এসিবি (এএফপি)