1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যামনেস্টির আর্জি খারিজ

১৪ জুলাই ২০২০

‘গুপ্তচরবৃত্তি’র অভিযোগে প্রযুক্তিসংস্থা এনএসও গ্রুপের রপ্তানি লাইসেন্স বাতিলের অনুমতি চেয়েছিল মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ কিন্তু ইসরায়েলের একটি আদালতে সেই আবেদন খারিজ হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3fIcG
এনএসও গ্রুপের একটি কার্যালয়ছবি: picture-alliance/AP Photo/D. Cheslow

বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মীদের ওপর নজরদারি ও তথ্যপাচার করার একাধিক অভিযোগ উঠেছে প্রযুক্তিসংস্থা এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে৷ একই অভিযোগ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতেও হোয়াটসাপের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়৷ মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও একই অভিযোগে তেল আবিবের একটি আদালতে এনএসও গ্রুপের রপ্তানি লাইসেন্স বাতিল করবার আর্জি জানায়৷

এর কারণ, এনএসও গ্রুপের পেগাসাস নামের প্রযুক্তিটি, যার সাহায্যে ব্যবহারকারীর অজান্তেই মোবাইল ফোনের ক্যামেরাও মাইক্রোফোন চালু করে ফোন-ব্যবহারকারীর তথ্য নিতে পারে৷ এর ফলে হাতের মুঠোয় থাকা ফোন সহজেই হয়ে ওঠে নজরদারি পণ্য৷

কিন্তু সোমবার মামলার শুনানিতে এই আর্জি খারিজ করে দেন বিচারক রেচেল বারকাই৷ তিনি জানান, কোনো মানবাধিকার কর্মীর ফোন ব্যবহার করে তার ওপর নজরদারি চালানোর প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-পরিচালক ডানা ইংলেটন এই ঘোষণাকে লজ্জাজনক আখ্যা দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এই শুনানি বিশ্বজুড়ে মানুষকে বিপদের ঝুঁকিতে ফেলবে৷ এই পণ্য এনএসও গ্রুপ সারা বিশ্বের মানবাধিকারবিরোধী শক্তিদের কাছে বিক্রি করতে পারবে৷’’

‘সৌদি আরব থেকে মেক্সিকো’ সব দেশের মানবাধিকারবিরোধীদের শক্তি বাড়াবে এই পণ্য, বলছেন তারা৷

বহু দিন ধরেই সক্রিয় এনএসও গ্রুপ

গত মাসেই অ্যামনেস্টি দাবি করে, মরক্কোর সাংবাদিক ওমার রাডির বিরুদ্ধে এনএসও'র এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছিল৷ কিন্তু এনএসও গ্রুপের পক্ষে এ বিষয়ে কোনো মতামত পাওয়া যায়নি৷ বরং তাদের ব্যবসা এমন অভিযোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানায় তারা৷

২০১৬ সাল থেকেই খবরের শিরোনামে উঠে আসছে এনএসও গ্রুপ৷ আরব আমিরাতের সরকারকে নজরদারি চালানোয় এই সংস্থা সাহায্য করেছিল বলে দাবি অ্যামনেস্টির৷ ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থায় বর্তমানে নিযুক্ত প্রায় ৬০০ জন৷ বিশ্বের বেশ কিছু জায়গায় রয়েছে তাদের কার্যালয়৷

এসএস/এসিবি (এএফপি)