1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিঃসঙ্গ প্রেসিডেন্ট

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)২৪ আগস্ট ২০১৮

প্রেসিডেন্ট হয়েও এমন অসহায় বোধ করতে পছন্দ করছেন না ট্রাম্প৷ তাই এফবিআই ও বিচার মন্ত্রণালয়ের উপরও চাপ সৃষ্টি করে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাইছেন তিনি৷ তবে অ্যাটর্নি জেনারেল তাঁর বিরোধিতা করছেন৷

https://p.dw.com/p/33fte
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস
ছবি: picture-alliance/dpa/AP/E. Vucci

চারিদিকে চাপের মুখে পড়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক কর্তৃপক্ষের উপর চাপ, পালটা চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন৷ এফবিআই-এর পর এমনকি অ্যাটর্নি জেনারেলকেও আক্রমণ করতে তাঁর বাধ সাধেনি৷ এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প সরাসরি জেফ সেশনস-এর সমালোচনা করেন৷ ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তদন্তের ক্ষেত্রে প্রভাব এড়াতে সেশনস ‘রিকিউজ' করায়, অর্থাৎ নিজেকে সরিয়ে নিয়ে ভালো করেননি বলে মনে করেন ট্রাম্প৷ উলটে বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে তাঁর প্রেসিডেন্টকে রক্ষা করা উচিত ছিল, বলেন ট্রাম্প৷ কারণ, তিনিই সেশনসকে এই পদে নিযুক্ত করেছিলেন৷

প্রেসিডেন্টের রোষ সত্ত্বেও সেশনস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, বিচার মন্ত্রণালয় রাজনৈতিক প্রভাবের ঊর্দ্ধে এবং শপথ গ্রহণ করেই তিনি বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছেন৷ কমপক্ষে তিনি যতদিন এই পদে রয়েছেন, ততদিন অন্যায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটবে না৷ এক মুখপাত্রের মাধ্যমে অ্যাটর্নি জেনারেল আরো জানিয়েছেন যে, তিনি এ ক্ষেত্রে উচ্চতম মানদণ্ড নিশ্চিত করতে চান এবং সেটা সম্ভব না হলেই তিনি পদক্ষেপ নেবেন৷

ট্রাম্প সেশনসকে বরখাস্ত করতে পারেন, এমন জল্পনা-কল্পনা সত্ত্বেও রিপাবলিকান দলের কিছু সংসদ সদস্য তাঁর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷ নভেম্বরের মধ্যবর্তীকালীন নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এমন পদক্ষেপ নেবেন না বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ নির্বাচনের পর তিনি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ম্যানাফোর্টকে ক্ষমা করতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে৷

প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ বলয়ের একের পর এক ব্যক্তি আইনি প্যাঁচে জড়িয়ে পড়ায় হোয়াইট হাউসে উদ্বেগ বেড়ে চলেছে৷ ২০১৬ সালে ট্রাম্পের প্রচারাভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি পল ম্যানাফোর্ট ও ট্রাম্পের প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোয়েন বিভিন্ন অপরাধের কারণে কারাগারে যেতে চলেছেন৷ এছাড়া অ্যামেরিকান মিডিয়া কোম্পানির কর্ণধার এতকাল ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ডেভিড পেকার আইনি রক্ষাকবচের আশ্বাস পেয়ে ফেডারেল কৌঁসুলিদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছেন বলে জানা গেছে৷ ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচার অভিযানে আর্থিক অসঙ্গতির তদন্তের ক্ষেত্রে তিনি অজানা তথ্য দিতে পারেন৷ ফলে কোয়েন ছাড়াও দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে দুই নারীর মুখ বন্ধ করার অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে পারেন৷

সরকারি কৌঁসুলিরা যেভাবে তথ্যের বিনিময়ে একাধিক ব্যক্তিকে লঘু শাস্তির প্রস্তাব দিচ্ছেন, সেই আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন ট্রাম্প৷ তাঁর মতে, এমন প্রক্রিয়া প্রায় বেআইনি হতে পারে৷