অস্ত্র আইন নিয়ে মার্কিন সেনেটে ভোটাভুটি
২৪ জুন ২০২২রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটদের যৌথ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নতুন বন্দুক নিয়ন্ত্রণের আইন আসতে চলেছে অ্যামেরিকায়। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এ নিয়ে সেনেটে বিতর্ক হয়েছে। ভোটাভুটিতে ৬৫-৩৩ ভোটে বন্দুক নিয়ন্ত্রণের পক্ষে রায় দিয়েছে সভা। এরপর আরো একটি ভোটাভুটি হওয়ার কথা হাউস অফ রিপ্রেসেনটেটিভে। তারপরেই বিলটি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের টেবিলে পৌঁছানোর কথা। প্রেসিডেন্ট সই করলে নতুন আইন চালু হবে।
বন্দুক বিক্রির উপরে অবশ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেনি নতুন বিল। তবে বন্দুক বিক্রি নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, স্কুলগুলিতে যাতে হামলা না চলে তার জন্য আরো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। ছাত্রছাত্রীদের মানসিক চিকিৎসার দিকে আরো গুরুত্ব দেওয়া হবে। আরো মনোবিদদের নিয়োগ করা হবে। নাবালকদের অপরাধের রেকর্ড আরো সতর্কভাবে নথিভুক্ত করা হবে। বিভিন্ন রাজ্যকে এবিষয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশ দেওয়া হবে। বন্দুক বিক্রির সময় ক্রেতার সমস্ত নথি পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষা করা হবে নাবালক থাকাকালীন তিনি কোনো অপরাধ করেছিলেন কি না।
ডেমোক্র্যাটরা বন্দুক বিক্রির উপর আরো কড়া নিষেধাজ্ঞা জারির কথা বলেছিলেন। মারণাস্ত্র বিক্রি বন্ধের কথা বলা হয়েছিল। ম্যাগাজিনে গুলির সংখ্যা নিয়েও তারা আলোচনা তুলেছিল। কিন্তু রিপাবলিকানরা তা মানতে চাননি। শেষপর্যন্ত দুই দলের যৌথ প্রয়াসে নতুন বিলটি তৈরি হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে সেনেটের ভোটাভুটিতে ১৫ জন রিপাবলিকান সদস্য বিলের পক্ষে ভোট দেন। ডেমোক্র্যাটদের ৫০ জন সদস্যই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ভোটের পর বাইডেন জানিয়েছেন, নতুন আইন বন্দুকের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে না পারলেও খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারল। অন্তত প্রথম পদক্ষেপটি করা গেল।
সুপ্রিম কোর্টের ভিন্ন সুর
বৃহস্পতিবারই নিউ ইয়র্কের একটি বন্দুক সংক্রান্ত আইনের মামলার রায় দিয়েছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে বন্দুক নিয়ন্ত্রণের বিরোধিতা করেছে আদালত। বলা হয়েছে, নিউ ইয়র্কের ওই আইন দেশের সংবিধানের বিরোধী। ১৯১৩ সালের ওই আইন মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীর পরিপন্থী বলে জানিয়েছে আদালত। নিউ ইয়র্কের ওই আইনে হ্যান্ডগান নিয়ে বাড়ির বাইরে বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। আদালত জানিয়ছে, রাস্তায় অস্ত্র রাখার অধিকার নাগরিকের আছে।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, নতুন বিলের সঙ্গে এই রায়ের দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ার আশঙ্কা কম।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক টাইমস)