অলিম্পিক
২ মার্চ ২০১২বৃহস্পতিবার ইটন মেনর রাগবি ফুটবল ক্লাবে কবিতাটি প্রথমবার জনসমক্ষে পাঠ করলেন ডাফি৷ কাছেই ছিল অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকের জন্য ট্রেণ করার টেনিস কোর্ট ও সুইমিং পুল৷ প্রতিবন্ধীরাও সেখানে ট্রেণিং করতে পারে, হুইল চেয়ারে বসে৷
১৯০৯ সালে ছেলেদের অভিজাত বোর্ডিং স্কুল ইটন কলেজের চার প্রাক্তন ছাত্র পাশের দরিদ্র, শ্রমিক শ্রেণী অধ্যুষিত হ্যাকনি উইক এলাকার ছেলেদের খেলাধুলোর জন্য একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন৷ ডাফির কবিতায় সেই ক্লাবই ‘‘দারিদ্র্যকে আত্মমর্যাদা এবং বন্ধুত্বে পরিণত করে৷ আশাবাদিতা পর্যবসিত হয় হাসিতে৷'' ডাফি লিখেছেন:
‘‘এই হল উত্তরাধিকার -
তরুণ জীবন যা সম্মান পায়, ভালোবাসা পায়, মূল্য পায়, সাহায্য পেয়ে
দৌড়তে, সাঁতার কাটতে, বল করতে, বক্সিং করতে, খেলতে, জিততে, দলের অঙ্গ হতে শেখে;
বিশ্বাস করে সমাজ হল বহু এককের সমষ্টি৷
অতীতের পথ আজও আমাদের উৎসর্গ করে
তার দূর, বর্তমান আলোক৷''
ক্লাবটি ১৯৬৭ সালেই বন্ধ হয়ে যায়৷ কিন্তু ঐ ক্লাবেরই হ্যারি মেলিন মিডলওয়েট বক্সিং'য়ে দু'বার সোনা জিতেছেন, ১৯২০ এবং ১৯২৪ সালে৷ ক্লাবের বক্সার নিকি গার্গানো ওয়েল্টারওয়েটে তামা জেতেন ১১৯৫৬ সালে৷
ক্লাব বন্ধ হয়েছে, কিন্তু প্রেরণা তো বন্ধ হয়নি৷ ডাফির কবিতায় অলিম্পিকের সেই রহস্যটিই ফুটে উঠেছে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ