অলিম্পিকেও তিন বোন
২৯ জানুয়ারি ২০১৪চোল ডাফুর লাপোনিট-এর নখ দেখে ছোট বোন জাস্টিন আনন্দে চেঁচিয়ে উঠল, ‘‘কী সুন্দর!'' এবার তিনিও যাবেন মন্ট্রিলের বিউটি পার্লারে, বড় বোনের মতো তাঁরও যে ক্যানাডার পতাকা আর অলিম্পিক রিংয়ের রংয়ে দু হাতের নখ না রাঙালেই নয়! যাবার সময় আরেক বোন মাক্সিমকেও সঙ্গে নিতে ভুলবেন না৷ চোল, মাক্সিম আর জাস্টিন – তিন বোন এবার এক সঙ্গেই যাবেন সোচি অলিম্পিকে অংশ নিতে৷ স্কিয়িংয়ে অংশ নেবেন তাঁরা৷
শীতকালীন অলিম্পিক থেকে সোনা, রূপা কিংবা ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে হাসিমুখে দেশে ফেরার স্বপ্ন পূরণ করতে একসঙ্গেই লড়বেন তিন বোন৷ একই পরিবারের তিন ভাই কিংবা তিন ভাই-বোন আগেও দেখেছে শীতকালীন অলিম্পিক৷ তবে এবারই প্রথম এক পরিবারের তিন বোন একই ইভেন্টে একসঙ্গে অংশ নিচ্ছে অলিম্পিকের শীতকালীন আসরে৷
২৪ বছর বয়সি মাক্সিম, ২২ বছর বয়সি চোল এবং ১৯ বছর বয়সি জাস্টিনের সঙ্গে স্কিয়িংয়ের সম্পর্কটা আশৈশব৷ শীতপ্রধান দেশে জন্ম বলে বরফ পড়লেই পুরো পরিবার বেরিয়ে পড়তো স্কিয়িংয়ে৷ ওভাবেই গড়ে ওঠা৷ মেজ বোন চোল সোচিতে যাবেন দ্বিতীয়বারের মতো অলিম্পিকে অংশ নিতে৷ তিন বছর আগে ভ্যানকুভারেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি৷ সেবার পঞ্চম হওয়ায় খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে৷ এবার তিন বোনই পদক নিয়ে ফেরার লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত৷ তিন বোনকে বিজয়ীর বেশে একসঙ্গে পোডিয়ামে দাঁড়াতে দেখলেও অবাক হওয়া কিছু থাকবে না৷
চোল, মাক্সিম আর জাস্টিনের মা অবশ্য অলিম্পিকে পদক বিতরণীর সময়েই শুধু সন্তানরা হাত ধরাধরি করে থাকুক তা চান না৷ তাঁর আশা, মিষ্টি মেয়ে তিনটি একসঙ্গে থাকবে চিরকাল, জীবনের সব সুখ-দুঃখ একসঙ্গেই বরণ করবে৷ তিন বোনেরও সেরকমই পরিকল্পনা৷ মাক্সিম সেলাইয়ের কাজে বেশ পটু হয়ে উঠেছেন৷ নিজের তৈরি করা পোশাক বিক্রিও করছেন৷ পণ্য বাজারজাতকরণের দিকটা দেখছেন চোল আর জাস্টিনকে দেয়া হয়েছে পণ্য উৎপাদন থেকে বাজারজাতকরণ এবং তারপর বিক্রয় পর্যন্ত সমস্ত কিছু তদারকের দায়িত্ব৷
ভবিষ্যতে বড় আঙ্গিকে কাজ করার জন্য নিজেদের তৈরি পোশাকের একটা ব্র্যান্ড নেম-ও ঠিক করে ফেলেছেন তাঁরা৷ ‘থ্রি সিস্টার্স অফ ডাফুর লাপোনিটে' থেকে আদ্যাক্ষর নিয়ে নাম ঠিক করা হয়েছে থ্রিএসডিএল৷ অলিম্পিকের পর ফ্যাশন জগতেও কি রাজত্ব করবেন তিন বোন?
এসিবি/ জেডএইচ (এএফপি)