অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে উদ্যোগী ভারত-শ্রীলঙ্কা
২২ জুলাই ২০২৩শুক্রবার দুই দেশের মধ্যে সেতু তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে দুই দিনের সরকারি সফরে ভারতে এসেছেন। গত বছর প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পরএটাই তার প্রথম ভারত সফর। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে নতুন দ্বিপাক্ষিক চুক্তির কথা জানান তারা।
একটি কৌশলগত নথি অনুসারে, পক প্রণালীজুড়ে "স্থলভাগে সংযোগ" স্থাপন হলে ত্রিংকেমালি এবং কলম্বোর মূল বন্দরগুলিতে প্রবেশাধিকার পাবে ভারত।
মোদী জানিয়েছেন, উভয়পক্ষ দ্রুত একটি পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন নির্মাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে চলেছে।
মোদীর কথায়, দুই নেতা অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে একটি পদক্ষেপ নিয়েছেন। সমুদ্রপথে সংযোগ বাড়ানো, বায়ুশক্তি এবং অন্যান্য শক্তিসংক্রান্ত সংযোগ জোরদার করা, পর্যটন, বাণিজ্য এবং উচ্চশিক্ষায় পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়েও কথা বলেছেন তারা।
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট
মোদীর কথায়, ''শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের কাছে গত বছরটা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিলো। ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসাবে আমরা তাদের পাশে ছিলাম।"
বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক ঋণখেলাপিও রয়েছে শ্রীলঙ্কার। গত বছর আর্থিক সংকটের পর ভারত প্রায় চার কোটি ডলার দিয়ে সাহায্য করেছে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে, যার মধ্যে খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানিও রয়েছে।
সম্প্রতি, দ্বীপরাষ্ট্রটি আইএমএফের থেকে সাহায্য পেয়েছে। সংকট মোকাবেলায় বিক্রমাসিংহে সরকারের নেওয়া সংস্কার ব্যবস্থা নিয়ে মোদীকে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
ক্রমবর্ধমান চীনা প্রভাব নিয়ে আলোচনা
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা শ্রীলঙ্কায় "চীনা উপস্থিতি" নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় দ্বিপাক্ষিক ঋণদাতা চীন। বেশ কয়েক বছর আগে, কলম্বো বেইজিংয়ের থেকে নেয়া নির্মাণ ঋণ শোধ করতে পারেনি।তখন একটি চীনা কোম্পানি শ্রীলঙ্কার গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্দরের ৯৯ বছরের লিজ পেয়েছিলো।
কোয়াত্রা একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, "আমাদের সামুদ্রিক এলাকা বা মেরিটাইম ডোমেনে যা ঘটছে তা জানিয়েছিলো শ্রীলঙ্কা। আমাদের নিরাপত্তা এবং কৌশলগত উদ্বেগের কথা তারা জানে। তারা এই বিষয়টিকে সম্মান করে।"
আরকেসি/এডিকে (এফপি, এপি, রয়টার্স)