সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি
৩০ এপ্রিল ২০১৩সকাল ১১টায় শুরু হয়ে এই সমাবেশ চলবে সারাদিন৷ সমাবেশে যোগ দিতে সকল শ্রমিক, পেশাজীবী, ছাত্র, শিক্ষক ও দেশপ্রেমিকদের আহ্বান জানিয়েছে আয়োজকরা৷
ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ইভেন্টে আয়োজক হিসেবে দেখা যাচ্ছে ‘সকল স্তরের ছাত্র-শিক্ষক-শ্রমিক-পেশাজীবী-জনতা', ‘জাতীয় স্বার্থে ব্লগার অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম', ‘শহীদ রুমী স্কোয়াড' সহ আরও তিনটি সংগঠনের নাম৷
তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে সাভারে নিহত প্রত্যেক নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা এবং আহত শ্রমিকদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা প্রদান, নিহত ও আহত শ্রমিকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ, সকল কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেয়া এবং ‘খুনি' মালিকদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে শ্রমিক কল্যাণে ব্যয় করা৷
বিক্ষোভের আয়োজকরা বলছেন, অপরাধী মালিকের বিচার করেনা রাষ্ট্র৷ কিন্তু শ্রমিকরা যখনই খুনি মালিকদের বিচারের দাবিতে মাঠে নেমেছে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা ও গুলি করছে৷ তাদের ক্ষোভ, হাইকোর্ট হাতিরঝিলে অবৈধভাবে গড়ে তোলা বিজিএমইএ ভবন ভাঙার আদেশ দিলেও তা মানা হচ্ছে না৷ ‘‘সরকারের কোনো আইন তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়৷''
তবে এই বিক্ষোভ সমাবেশের সফলতা নিয়ে আশংকা প্রকাশ করে ফাহিম আহসান আল রশিদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘যেখানে গোটা আটতলা বিল্ডিং ধসেও বিজে এমসির গা ছাড়া ভাব লক্ষ্য করা যায়, সেখানে প্রতিবাদ সভায় কি এমন হবে, বলা বড় দায়!''