অভিযুক্ত আল-কায়েদা সদস্যকে গ্রেপ্তার করল জার্মান পুলিশ
৯ ডিসেম্বর ২০১১প্রায় ছয় মাস ধরে নজর রাখার পর গ্রেপ্তার করা হয় হালিল এস'কে৷ আইনগত কারণে তার পুরো নাম প্রকাশ করা হয়নি৷
পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বোখুম থেকে ২৭ বছর বয়সি হালিল'কে আটক করা হয়৷ এর আগে গত এপ্রিলে তার আরও তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ এর মধ্যে তার দলের প্রধান আবদেলআদিম এল-কে রয়েছেন - যাকে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য জার্মানিতে পাঠিয়েছিলেন আফগানিস্তানে আল-কায়েদার প্রধান৷
আবদেলআদিম-কে'র গ্রেপ্তারের পর হালিল'এর উপরই হামলা চালানোর দায়িত্ব এসে পড়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ এজন্য তিনি অনলাইনে কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান ই-বে'তে প্রতারণা করে অর্থ জোগাড় করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে৷ পুলিশ বলছে ই-বে'তে দামি ক্যামেরা বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে তিনি ক্রেতাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ক্যামেরা দেননি৷
এদিকে প্রমাণ সংগ্রহের লক্ষ্যে পুলিশ হালিল'এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনের বাড়ি সহ মোট ১৬টি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে৷
তবে এস যে সাম্প্রতিক সময়ে কোনো হামলার পরিকল্পনা করছিলেন তেমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷
এদিকে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হান্স-পেটার ফ্রিডরিশ বলছেন, এই গ্রেপ্তারের ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে, জার্মানি সহ ইউরোপ এখনো ইসলামি সন্ত্রাসীদের হুমকির আওতামুক্ত নয়৷ তবে পুলিশ যে সবসময় সজাগ রয়েছে এই ঘটনা তারও একটা প্রমাণ৷
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে জার্মানির প্রায় পাঁচ হাজার সৈন্য কাজ করছে৷ সে কারণে সন্ত্রাসীরা জার্মানিতে হামলা করতে পারে বলে মাঝে মধ্যে শোনা যায়৷ তবে এখনো পর্যন্ত সেরকমটা হয়নি৷
তবে ২০০৬ সালের জুলাই মাসে কোলন শহরের প্রধান রেলস্টেশনে ইসলামি জঙ্গিরা হাতে তৈরি বোমা ভর্তি কয়েকটি স্যুটকেস রেখে গিয়েছিল৷ তবে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়নি৷
এরপর ২০০৭ সালে দুজন জার্মান নাগরিক, যারা পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, তাদের সহ তিনজনকে আটক করেছিল পুলিশ৷ তারা জার্মানিতে থাকা অ্যামেরিকার স্থাপনাগুলোতে হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে অভিযোগ রয়েছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক