অভিবাসীদের ‘চিহ্নিত' করতে চেয়েছিল উগ্র-ডানপন্থিরা
২৭ আগস্ট ২০১৯জার্মান দৈনিক স্যুডডয়চে সাইটুং এবং ডব্লিউডিআর ও এনডিআর সম্প্রচার কেন্দ্রের গবেষণা অনুযায়ী, স্যাক্সনি রাজ্যের ক্রিমিনাল পুলিশ অফিস কেমনিৎস শহরের ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত সদস্যদের চ্যাটিংয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানায়৷ তবে প্রকৃতপক্ষে অভিবাসীদের চিহ্নিত করা হয়েছিল কিনা এনিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷
২০১৮ সালের ২৬ আগস্ট কেমনিৎসে ছুরিকাঘাতে এক জার্মান নাগরিক নিহত হন৷ এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ওই সময় একজন বিদেশিকে সন্দেহ করা হয়েছিল৷ সম্প্রতি ২৩ বছর বয়সী এক সিরিয়ান নাগরিককে ওই হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে৷
এই হত্যাকাণ্ডের পর কেমনিৎস শহরে এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ হয়৷ এসময় উগ্র ডানপন্থিদের রাস্তায় অভিবাসী ও বিদেশিদের ধাওয়া করতে দেখা যায়৷
কেমনিৎসে বিক্ষোভের তদন্ত করে পুলিশ বলছে, ওই সময় চরম ডানপন্থি ব্যক্তিরা অভিবাসী এবং বিদেশিদের চিহ্নিত করার পরিকল্পনা করেছিলেন৷
দৈনিক স্যুডডয়চে সাইটুং এবং ডব্লিউডিআর ও ওনডিআর সম্প্রচার কেন্দ্রের গবেষণা অনুযায়ী, স্যাক্সনি রাজ্যের ক্রিমিনাল পুলিশ অফিস বিক্ষোভের সময় কেমনিৎসের ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত সদস্যদের মধ্যে ২৬ থেকে ২৮ আগস্টের চ্যাটিংয়ের তথ্য মূল্যায়ন করেছে৷
স্যুডডয়চে সাইটুং বলছে, স্যাক্সনির প্রতিবেদনের সারকথা হলো – বিক্ষোভকারীরা পুলিশ, অভিবাসী, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল৷
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের মধ্যে চ্যাটিংয়ে সময় তারা ‘হান্ট' শব্দটি বারবার ব্যবহার করেছেন এবং অভিবাসীদের হিংস্রভাবে আক্রমণ বা প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে আলাপ করেছেন৷
নথিতে আরও বলা হয়েছে, চ্যাটিংয়ে অংশগ্রহণকারীরা সফলভাবে অভিবাসীদের চিহ্নিত করা নিয়ে গর্ব করেন৷ চ্যাটিংগুলো ‘বিদেশিদের বিরুদ্ধে সহিংস অপরাধমূলক কাজের প্রকৃত বাস্তবায়ন' নির্দেশ করে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে৷
কেমনিৎসে ডানপন্থিদের সহিংসতার সময় বিদেশিদের বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল কি না এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷
জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন প্রধান হান্স-জর্জ মাসেন এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে বিদেশিদের ধাওয়া করা হচ্ছে এমন ভিডিওর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন৷
২০১৮ সালের আগস্টে চেমনিটজ বিক্ষোভ নিয়ে স্যাক্সনি পুলিশের প্রতিবেদনটি আরও মূল্যায়নের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে পাঠানো হয়েছে৷
এসআই/কেএম