ট্রাম্পের আরও কড়া নীতি
২৫ জুন ২০১৮ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব নিয়েছেন ট্রাম্প৷ রবিবারের একগুচ্ছ টুইটে তিনি শরণার্থীদের নিশানা করেছেন৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, মেক্সিকো থেকে অনুপ্রবেশকারীরা জোর করে দেশে ঢুকতে চাইছে৷ তাই তিনি কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই এই শরণার্থীদের মেক্সিকোয় ফেরত পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷ লিখেছেন, ‘‘যখন কেউ ঢুকে পড়ে, যেখান থেকে তারা এসেছে সেখানে অবিলম্বে তাদের ফেরত পাঠানো উচিত৷ আদালতের ভরসায় না থেকে তাদের ফেরত পাঠানোই উচিত আমাদের৷''
মার্কিন মানবাধিকার কর্মীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, প্রেসিডেন্টের ঘোষণা দেশের সংবিধান বিরোধী৷
অ্যামেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলডি) বলেছে, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা বলেছেন, তা একইসঙ্গে বেআইনি ও সংবিধানবিরোধী৷ তাদের টুইটে বলা হয়েছে, যিনি সংবিধানের নামে শপথ নিয়ে সরকারি দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁর উচিত প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের বিরোধিতা করা৷''
ট্রাম্পের নীতি সমালোচনার মুখে
ট্রাম্পের অবস্থান নতুন কিছু নয়৷ হোয়াইট হাউস অভিবাসনের ব্যাপারে যে কঠোর নীতি নিয়েছে, তা ডেমোক্র্যাট তো বটেই, শাসক দল রিপাবলিকানদের অনেক আইনপ্রণেতাকে চিন্তায় রেখেছে৷
গত সপ্তাহে অবশ্য ট্রাম্প অভিবাসন সংক্রান্ত একটি কঠোর নীতি ঘোষণা করেও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন৷ এই নীতি অনুযায়ী যে অভিভাবকরা বেআইনিভাবে অ্যামেরিকায় এসেছেন, তাদের থেকে সন্তানদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হতো৷ তবে পর্যাপ্ত নথিপত্র ছাড়া অ্যামেরিকায় প্রবেশ করলে কঠোর নিয়মের মুখে পড়তে হবে৷
ট্রাম্প নীতি বদল করলেও গত শনিবার ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি পরিবারের পৃথকীকরণ নিয়ে প্রথম তথ্য প্রকাশ করেছিল৷ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে ট্রাম্প অভিবাসন নিয়ে মার্কিনি জনতাকে বার্তা দিতে চাইছেন৷
অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ট্রাম্প
বরাবরই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর কথা বলেছেন ট্রাম্প৷ তাঁদের বিপজ্জনক ও হিংস্র অপরাধীও বলেছেন৷ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপকে তিনি অ্যামেরিকাকে শক্তিশালী করার পথ হিসেবে ব্যাখা করেছেন৷ তিনি এই পথে মহান অ্যামেরিকা গঠনের স্লোগান দিয়েছেন৷
রবিবারের টুইটে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘আমাদের অভিবাসন নীতি নিয়ে সব জায়াগায় হাসাহাসি হচ্ছে৷ কিন্তু, যারা নিয়ম মেনে অভিবাসী হয়েছেন, তাঁদের প্রতি এটা অবিচার৷''
অ্যামেরিকাকে শক্তিশালী করে তুলতে দেশকে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চান ট্রাম্প৷ এই নমুনা তাঁর অনেক সিদ্ধান্তে মিলেছে৷
অভিবাসন বিশ্বজনীন সমস্যা
যেদিন ট্রাম্প টুইট করেছেন, সেদিন ব্রাসেলসে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সহ ইউরোপীয় নেতারা ব্রাসেলসে অভিবাসন নিয়ে বৈঠক করেছেন৷ ট্রাম্প অভিবাসন নিয়ে বারবার ম্যার্কেলের সমালোচনা করেছেন, জার্মানিকে অভিবাসনের পক্ষে বিপজ্জনক বলেছেন৷ ম্যার্কেল অভিবাসন নিয়ে উদার দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়ায় ট্রাম্পের এই ক্ষোভ৷
পিএস/ডিজি (এপি, এএফপি)