ব্রেক্সিট পরবর্তী অভিবাসন
১৮ মে ২০১৭ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মে অভিবাসনের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করবেন ও পেনশনভোগীদের কিছু কল্যাণমূলক সুযোগসুবিধা খর্ব করবেন৷
যেসব নিযোগকারী সংস্থা ইইউ-বহির্ভূত দেশ থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমিক আমদানি করতে চাইবেন, তাদের দ্বিগুণ পরিমাণ ‘স্কিলস চার্জ’ দিতে হবে৷ এছাড়া অভিবাসী শ্রমিকদের ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিসে আরো বেশি অনুদান দিতে হবে বলেও জানিয়েছে বিবিসি৷ এই পন্থায় যে অতিরিক্ত অর্থ সংগৃহীত হবে, তা দিয়ে ব্রিটিশ শ্রমিকদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে৷
ব্রেক্সিটের পর ইইউ দেশগুলি থেকেও অভিবাসন কমানোর পরিকল্পনা করছেন মে, বলে জানিয়েছে বিবিসি৷ অপরদিকে বুধবার বার্লিনে জি-টোয়েন্টি শ্রমিক সংগঠনগুলির একটি সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ব্রিটেনকে সতর্ক করে বলেন, ইইউ-নাগরিকদের মুক্ত যাতায়াতের উপর বাধানিষেধ আরোপের ‘মূল্য দিতে হবে’৷ এক বা দু’লাখের চেয়ে বেশি ইইউ নাগরিককে ব্রিটেনে আসতে না দেওয়ার নীতি প্রয়োগের ঝুঁকি সম্পর্কেও সাবধান করে দেন ম্যার্কেল৷
প্রধানমন্ত্রী মে'র অন্যান্য পরিকল্পনা
মে ‘দ্য সান’ পত্রিকায় লেখেন যে, তিনি ‘‘সাধারণ খেটে খাওয়া পরিবারবর্গের জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে, কর নীচু পর্যায়ে রাখতে এবং খোলাবাজারের অর্থনীতি যেখানে ঠিকমতো কাজ করছে না, সেখানে হস্তক্ষেপ করতে বদ্ধপরিকর’’৷
‘দ্য টেলিগ্রাফ’ পত্রিকার বিবরণ অনুযায়ী, মে ২০২০ সালের মধ্যে কোম্পানিগুলোর কর্পোরেশন ট্যাক্স কমিয়ে ১৭ শতাংশ করার পরিকল্পনায় সরকার অটল৷
যেসব নাগরিক বাড়িতে নিখর্চার স্বাস্থ্যগত পরিচর্যা পাচ্ছিলেন, তাদের আরো বেশি ‘অনুদান’ দিতে হবে৷ ছোট ছেলেমেয়েদের বিনামূল্যে সার্বজনীন দুপুরের খাওয়ার জন্য সরকারি বরাদ্দ কমিয়ে সেই অর্থ শিক্ষা খাতের অপরাপর এলাকায় ব্যয় করা হবে৷
আগামী ৮ই জুনের নির্বাচনে টেরেসা মে ও তাঁর কনজারভেটিভ দলের বিপুল জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে৷
এসি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)