‘অভিন্ন নদীর পানি প্রাপ্তি বাংলাদেশের অধিকার’
৯ সেপ্টেম্বর ২০১১এবার তিস্তা চুক্তি না হলেও এক্ষেত্রে বড় অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করেন ড. আইনুন নিশাত৷ তিনি বলেন, তিস্তা চুক্তির দুটি বিষয় আছে৷ একটি হচ্ছে, কারিগরি দিক৷ অর্থাৎ কোথায় পানি বণ্টন হবে, কে পানি বণ্টন করবে, কীভাবে বণ্টন করবে, কতদিন বণ্টন হবে৷ তার চেয়ে বড় কথা আমরা প্রকৃতির জন্য পানি সংরক্ষণের বিষয়েও বলেছি৷ ভারত সেটা বোধকরি মনে নিয়েছে৷ কীভাবে সে পানি সংরক্ষণ হবে, আমার ধারণা এসব বিষয় দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে৷ গওহর রিজভী এই তথ্য নিশ্চিত করেছে৷
ড. নিশাত বলেন, ১৯৮৪-৮৫ সালে একটি এডহক সমঝোতা চূড়ান্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছিল৷ সেখানে দ্বিতীয় বিষয়টি হয়েছে৷ এটি হচ্ছে, রাজনৈতিক অংশ৷ কার ভাগ কতটা হবে, কার হিস্যা কতটা হবে৷ এটা কোন গাণিতিক সূত্রের মধ্যে হয় না৷ কিছু কারিগরী বা গাণিতিক বিষয় আছে বটে, তবে মূলত এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত৷ এবারে সম্ভবত রাজনৈতিক অংশটি হয়ে গেছে বলে আমরা আশা করেছিলাম৷
ড. আইনুন নিশাত আশা প্রকাশ করে জানান, অভিন্ন নদীর পানি প্রাপ্তির বিষয়টি বাংলাদেশের অধিকারের ব্যাপার৷ পুরনো দলিল অনুযায়ী, পানি বণ্টনের বিষয়টি ৪৮ কিংবা ৫০ ভাগ হতে হবে৷ আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ কখনোই ৪৮ শতাংশের নিচে পানি পেতে পারে না, বরং ৫০ শতাংশ পেতে পারে৷
ড. আইনুন নিশাত এর সাক্ষাৎকারটি শুনতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন
সাক্ষাৎকার: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন