অবসর নিচ্ছেন বিখ্যাত ফুটবল তারকা রোনাল্দো
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১৩৪ বছর বয়সের এই স্টার এস্টাডো দ্য সাও পাওলো সংবাদপত্রকে বলেন, ‘‘আমি আর নিতে পারছি না''৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি চালিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমি আর পারছি না, আমি যে ধরণের এ্যাকশনের কথা ভাবি সেভাবে আমি চালাতে পারছি না৷''
রোনাল্দো গ্লোবো টেলিভিশনকে বলেন,‘‘শরীর আমাকে কষ্ট দিচ্ছে৷ আমার মাথা চালিয়ে যেতে চাচ্ছে, কিন্তু শরীর আর নিতে পারছে না৷'' ব্রাজিলের এই ফুটবলার গত বছরের শেষের দিকে তাঁর অবসর সম্পর্কিত ইঙ্গিতটি দেন৷ তবে দক্ষিণ আ্যামেরিকার সবচেয়ে সম্মানজনক ক্লাব টুর্নামেন্ট কোপা লিবার্তাদোরেস থেকে তাঁর ক্লাব কোরিনথিয়ান্স-এর বিদায় এবং নিজের একের পরে এক ইঞ্জুরির ঘটনা তাঁর অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তকে এগিয়ে আনতে বাধ্য করেছে৷ কোপা ট্রফি, ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফির সমমর্যাদার৷ একমাত্র এই ট্রফিটাই জিততে পারেনি রোনাল্দো৷ তাছাড়া রোনাল্দোকে সবসময়ের সেরা খেলোয়াড় হিসেবেই দেখা হয়ে থাকে৷ বিশ্বখ্যাত এই খেলোয়াড় তাঁর সেরা সময়ে ‘এল ফেনোমেনো' হিসেবে পরিচিত ছিলেন৷
২০০২ সালের টুর্নামেন্টে ব্রাজিলের হয়ে ট্রফি ছিনিয়ে আনতে, সর্বোচ্চ ১৫টির গোলদাতা ছিলেন রোনাল্দো৷ এবং এই সময়েই তিনি ইঞ্জুরির শিকার হন৷ তার পরেও আসে একের পর এক ইঞ্জুরির৷ শেষ পর্যন্ত রোনাল্দো এটাই মেনে নেন যে, তাঁর ইঞ্জুরি এবং ম্যাচ ফিটনেসের অভাবে তাঁকে খেলা থেকে বের হয়ে আসতে হবে৷
১৯৯৬, ১৯৯৭ এবং ২০০২ সালে তিনবার বর্ষসেরা ফিফা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন রোনাল্দো৷ তাঁর এই গৌরবোজ্জল ক্যারিয়ার তাঁকে ইউরোপের শীর্য ক্লাব স্পেনের এফসি বার্সেলোনা ও রেয়াল মাদ্রিদ এবং ইটালির ইন্টার মিলান ও এসি মিলানে খেলার সুযোগ করে দেয়৷ কিন্তু ১৯৯৯ সালে মারাত্মক হাঁটুর ইঞ্জুরিই তাঁকে চেপে ধরে, ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে একই হাঁটুর একই জায়গায় আবারো ইঞ্জুরি তাঁকে ২০০২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত খেলা থেকে বাইরে রাখে৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদান: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী