অবশেষ মুক্তি পেলেন দুই ফরাসি সাংবাদিক
৩০ জুন ২০১১সাংবাদিক দুজন হলেন ক্যামেরাম্যান স্টেফান তাপোনিয়ের এবং এ্যার্ভে ঘেসকিয়ের৷ তারা কাজ করতেন ফ্রান্স থ্রি টেলিভিশন চ্যানেলে৷ ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পূর্বে কাপিসা পাহাড়ের কাছ থেকে তাদের অপহরণ করা হয়৷ তাদের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় দোভাষী রেজা দিন৷
আজ প্যারিসের কাছে ভিলাকুব্লে বিমানঘাঁটিতে সকাল আটটায় দুই সাংবাদিক পৌঁছান৷ তাদের স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করছিলেন পরিবারের সদস্যসহ বন্ধু-বান্ধবরা৷ বিমানঘাঁটিতে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে দুই সাংবাদিক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন৷ বেশ খোলখুলিভাবেই তারা প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেন৷ তাদের বন্দি জীবনের ছবি তুলে ধরেন৷ দুজনেই হাসতে হাসতে জানান, তারা এখনো ভাঙা ভাঙা দারি ভাষায় কথা বলতে পারেন৷ ঘেসকিয়ের জোর দিয়ে বলেন:‘‘ আমাদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়নি কখনও৷ মারধোরও করা হয়নি৷''
কাবুলে ফরাসি দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘দু'জন সাংবাদিকই শারীরিক এবং মানসিক দু'দিক থেকেই বেশ ভাল আছেন৷'' টেলিভিশনের পর্দাতেও তা-ই দেখা গেছে৷
স্টেফান তাপোনিয়েরের মা আর্লেত তাপোনিয়ের মুক্তির খবর পাওয়ার পর জানান,‘‘আমি অবশ্যই ঘঁটিতে উপস্থিত থাকবো৷ অত্যন্ত দারুণ একটি খবর৷ অনেক অপেক্ষার পর আমরা জেনেছি ওরা মুক্তি পেয়েছে৷'' প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজির দপ্তর থেকে টেলিফোনে আর্লেত তাপোনিয়েরকে স্টেফানের মুক্তির খবর দেয়া হয়৷
প্রধানমন্ত্রী ফ্রঁসোয়া ফিঁও জানান, মুক্তির পাওয়ার পরই তাদের দুজনকে আফগানিস্তানের তাগাবে অবস্থানরত ফরাসি সেনাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়৷ আফগানিস্তানে প্রায় চার হাজার ফরাসি সেনা মোতায়েন রয়েছে৷
প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজির দপ্তর থেকে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট এই দুই ফরাসি সাংবাদিকের মুক্তির খবরে অত্যন্ত আনন্দিত৷ সেই সঙ্গে দোভাষী রেজা দিনের মুক্তিতেও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট৷
২০০৯ সালে এই দুই সাংবাদিক নিখোঁজ হন এবং তালেবান তাদের অপহরণ করেছে বলে দাবি করে৷ এবছরের শুরুতে তালেবান জঙ্গিরা ফ্রান্সকে হুমকি দেয় এই বলে যে, যতদিন ফরাসি সেনারা আফগানিস্তানে থাকবে ততদিন এই দু'জন মুক্তি পাবে না৷
প্রেসিডেন্ট হামেদ কারজাই-এর মুখপাত্র সিয়ামাক হেরাভি জানান,‘‘আমরা ফরাসি সরকারসহ এই দুই সাংবাদিককে অভিনন্দন জানাচ্ছি৷ এটা আমাদের সবার জন্য দারুণ এক জয়৷''
পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে এই দুই সাংবাদিকের মুক্তির জন্য প্রেসিডেন্ট হামেদ কারজাইকেও ধন্যবাদ জানান৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক