মানবাধিকার
১০ ডিসেম্বর ২০১২জাতিসংঘের ঘোষিত বিশ্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতি বছর পালিত হয়ে আসছে মানবাধিকার দিবস৷ এই বছর নাস্তিকদের মানবাধিকার নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হচ্ছে৷ কারণ ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিস্ট অ্যান্ড এথিক্যাল ইউনিয়ন বা আইএইচইইউ-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গোটা বিশ্বের নানা দেশে কেবল ধর্মবিশ্বাস না থাকার কারণে অনেকে অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে৷ ‘চিন্তার স্বাধীনতা ২০১২' নামে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাস্তিকতার কারণে কিংবা ধর্ম বিশ্বাস ত্যাগ করার কারণে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে অন্তত সাতটি দেশে৷ এগুলো হলো আফগানিস্তান, ইরান, মালদ্বীপ, মৌরিতানিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব এবং সুদান৷ এছাড়া, নাস্তিকতার কারণে নানা দেশে অনেকেই বৈষম্য কিংবা সামাজিক নিন্দার শিকার হন৷ যেমন বাংলাদেশ, কুয়েত, মিশর, ইন্দোনেশিয়া এবং জর্ডান৷ এমনকি উদারপন্থী বলে পরিচিত ইউরোপের অনেক দেশে এবং যুক্তরাষ্ট্রে পর্যন্ত নাস্তিকদের হেয় প্রতিপন্ন করা হয় বলে জানানো হয়েছে এই প্রতিবেদনে৷ ধর্ম বিশ্বাস না থাকায় নাস্তিকদের প্রতি এই ভিন্ন আচরণ মানবাধিকারকেই হেয় করা হয়, এমনটি মনে করে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিস্ট অ্যান্ড এথিক্যাল ইউনিয়ন৷
মানবাধিকার দিবসে বরাবরই চলে আসে চীনের কথা৷ দেশটির শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মানবাধিকার কর্মী লিউ শিয়াবাও এখনও কারাবন্দি৷ তাঁর বাড়ির কাছে সোমবার একটি সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু চীনা সরকার তাঁর স্ত্রী লিউ শিয়াকে সারাদিন গৃহবন্দি করে রেখেছে৷ এই সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল আরেক ভিন্ন মতাবলম্বী হু জিয়া-র৷ তবে তাঁকেও সোমবার বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি চীনা কর্তৃপক্ষ৷
ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ কমেনি৷ জাতিসংঘের মতে, সেদেশে গত কয়েক মাসে মানবাধিকার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে৷ আন্তর্জাতিক আপত্তি সত্ত্বেও সে দেশে মৃত্যুদণ্ড বহাল রয়েছে৷ তবে কেবল ইরান নয়, বিশ্বের আরও অনেক দেশেই মৃত্যুদণ্ড বজায় রয়েছে৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই দণ্ডের বিরোধীতা করে আসছে শুরু থেকেই৷
এদিকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মানবাধিকার নিয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়ে জনতার রোষের শিকার হন সোমবার৷ কথা বলার সময় ক্ষুব্ধ জনতা তাঁর দিকে জুতা আর ব্যাগ ছুড়ে মারে৷
আরআই/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)