অনুব্রতকে জেরা করে কী পেল সিবিআই?
১৭ আগস্ট ২০২২সিবিআই সূত্র জানাচ্ছে, অনুব্রত বীরভূমের গ্রামের মানুষ হলে কী হবে, তিনি মানি লন্ডারিং করেছেন একেবারে অত্যাধুনিক কায়দায়। সেজন্য অনুব্রতর হিসাবরক্ষককে বুধবার জেরা করেছে সিবিআই। এখনো পর্যন্ত তদন্ত করে ও জেরা করে সিবিআই দেখেছে, অনুব্রতর নিজের নামে সম্পত্তি বেশি নেই। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বেশি লেনদেনও হয়নি। তার মেয়ের দুইটি কোম্পানিতে কোটি পাঁচেকের মতো টাকা ঢুকেছে। অধিকাংশই বিভিন্ন কোম্পানি থেকে লোন হিসাবে। তার মধ্যে একটি কোম্পানিতে অনুব্রতর ২৫ শতাংশ শেয়ার আছে বলে অভিযোগ।
তাহলে অনুব্রতর যে বিশাল সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ, সেটা কোথায় আছে? সিবিআই সূত্র জানাচ্ছে, দেহরক্ষী সায়গল হোসেন সহ তার বেশ কিছু বিশ্বস্ত কাছের মানুষের কাছে অনুব্রতর সম্পত্তি রয়েছে বলে তাদের ধারণা। সায়গল হোসেনের কাছেই একশ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ।
এভাবেই তার আরো ঘনিষ্ঠজনের কাছে অনুব্রতর টাকা ও সম্পত্তি গচ্ছিত আছে বলে সিবিআই মনে করছে। সেই সূত্রগুলি ধরতে চাইছে সিবিআই। সায়গল হোসেনকে বেশ কয়েকবার জেরা করেছেন সিবিআই অফিসাররা। অনুব্রতকেও একাধিকবার জেরা করা হয়েছে। এবার অনুব্রতর মেয়েকেও জেরা করবে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রের দাবি, তারা যেভাবে এগোচ্ছেন, তাতে অনুব্রত পার পাবেন না। ইতিমধ্যেই তাদের হাতে প্রচুর তথ্যপ্রমাণ চলে এসেছে। বাকি প্রমাণও দ্রুত এসে যাবে বলে তাদের দাবি।
সিবিআই অফিসাররা বুধবার বোলপুর যান। তারা পূর্বপল্লির গেস্ট হাউসে ওঠেন। সেখানেই ডেকে পাঠানো হয় অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারিকে। তাকে দুই ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়। এরপর তাদের অনুব্রতর মেয়েকে জেরা করার কথা। অনুব্রতর মেয়ের অ্যাকাউন্টের লেনদেন ও লোনে পাওয়া অর্থ নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যা চাইতে পারেন তারা।