1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অনাস্থা ভোট চান জনসন!

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিতে বিরোধী দলগুলোর প্রতি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন৷ অবৈধভাবে স্থগিতের দুই সপ্তাহ পর সংসদের প্রথম অধিবেশেন তিনি এই আহ্বান জানান৷

https://p.dw.com/p/3QHPw
বিরোধী দলের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন জনসনছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Taylor

'কাম অন' চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কনজারভেটিভ নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী জনসনবুধবার বিরোধী দলগুলোকে অনাস্থা ভোটের কথা বলেন৷ তার এই পদক্ষেপ দেশটিকে একটি সাধারণ নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

ব্রিটেনের পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্ট বেআইনি ঘোষণার পর বুধবার সংসদের প্রথম অধিবেশনে সরকারি এবং বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়৷

আদালতের রায় তুলে ধরে বক্তব্যে জনসন বলেন, ‘‘সংসদ স্থগিত করা ছিল একটি রাজনৈতিক বিষয়, এটা আদালতের বিষয় নয়, এখানে আদালত ভুল ছিল৷’’

প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেওয়ার সময় বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা ‘তুমি মিথ্যাবাদী’ বলে চিৎকার করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন৷ এরপরেও জনসন বলেন, আগামী ৩১ অক্টোবর যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবে এবং প্রথম গণভোটের ফলাফল বহাল রাখতে বদ্ধপরিকর৷

লেবার পার্টির নেতা এবং বিরোধী দলের প্রধান জেরেমি কর্বিন প্রধানমন্ত্রী জনসনকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, তারা সাধারণ নির্বাচনে যাবেন, যদি প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিট ছাড়ার তারিখের মেয়াদ বাড়িয়ে দেন৷

অন্য বিরোধী সংসদ সদস্যরাও সংসদ স্থগিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা জানিয়ে লেবার নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেন৷

স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির আয়ান ব্ল্যাকফোর্ড বলেন, বরিস জনসন আইনিক্ষেত্রে কোনো কিছু পছন্দ বা বাছাই করতে পারেন না, কারণ, তাকে অবশ্যই আইন মানতে হবে৷

আগামী ১৪ অক্টোবর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নতুন সরকারের কার্মপরিকল্পনা নিয়ে পার্লামেন্টে যে ভাষণ দেবেন, তা সুষ্ঠুভাবে করতেই পার্লামেন্টের সর্বশেষ অধিবেশনটি গত ১০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী পাঁচ সপ্তাহের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছিল৷

সংসদ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তকে গত মঙ্গলবার বেআইনি ঘোষণা করে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্ট৷ এক রায়ে সর্বোচ্চ আদালত জানায়, ওই সিদ্ধান্তের কোনো কার্যকারিতা নেই৷

আদালতের রায়ের পর হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন বারকাউ বলেছিলেন, জরুরি ভিত্তিতে দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে পরামর্শের পর পার্লামেন্ট বসবে৷ বুধবার প্রথম বৈঠকে সংসদ স্থগিত করা নিয়ে তর্কে জড়ান সংসদ সদস্যরা৷ আদালতের রায় নিয়ে জনসনের মন্তব্যকে ঔদ্ধত্য হিসেবেও বর্ণনা করেন কেউ কেউ৷

এসআই/এসিবি (এপি, রয়টার্স)